গত লোকসভা ভোটের মতো এবারও প্রথম দফার ভোটে সব বুথে বাহিনী না থাকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি আসনে ভোট। ওই আসনগুলির সব বুথে ভোট করাতে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজন হবে। একই সময় অন্যান্য রাজ্য ভোট থাকার কারণে ওই সংখ্যক বাহিনী আনা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে কমিশনের কাছেও প্রশ্ন রয়েছে।
কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, একটি বিধানসভা এলাকায় কমপক্ষে ১৬ কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী একটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ১১২ কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজন। ফলে ওই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে সব বুথে ৩৩৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। এছাড়াও ভোটের দিন নজরদারিতে বাড়তি সেনার প্রয়োজন। ফলে সবমিলিয়ে প্রথম দফায় প্রায়৩৫০ কোম্পানি বাহিনী দরকার। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় এত সংখ্যক আধাসেনা রাজ্যের জন্য মিলবে না।
যে কারণে আশঙ্কা
প্রথম দফায় দেশের ২১ রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোট রয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে আবার এক দফাতেই ভোট। ফলে সেসব রাজ্যে বাহিনীর প্রয়োজন থাকছে। তাছাড়া মণিপুরের মত রাজ্যও প্রথম দফাতেই ভোট রয়েছে। ফলে সেখানে পর্যার্চ বাহিনী মোতায়য়েন রাখতে হবে। সে কারণে কমিশনের আশঙ্কা ফলে এ রাজ্যে প্রথম দফায় সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন। ভোটার কার্ডের সমস্যার কথা স্বীকার করল নির্বাচন কমিশন, জেলায় গেল কড়া নির্দেশ
বিকল্প ব্যবস্থায় নজরদারি
প্রথম দফায় সব বুথে নজরদারি না রাখা গেলেও বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে বুথে উপর নজরদারি রাখা হবে। বর্তমানকে কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘তিন কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশ এলাকা স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত। ফলে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে ওয়েব কাস্টিং, ভিডিও রেকর্ডিং ও সিসিটিভির নজরদারি রাখা হবে।’
আগেও ছিল জটিলতা
প্রথম দফায় সব বুথে বাহিনী না রাখতে পারার মতো জটিলতায় এর আগেও পড়েছে কমিশন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রথম দফাতে যে দু’টি আসনে ভোট হয় তার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারেনি কমিশন। তবে কমিশন সূত্রে খবর, শুধু প্রথম দফা নয়, দ্বিতীয় দফাতেও একই অনিশ্চয়তা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম দফার আগে রাজ্যে আরও কিছু ফোর্স আসার সম্ভাবনা আছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ভোটের আগে আরও কিছু আসবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার আবেদন জানাচ্ছে বিরোধীরা। প্রথম দফাতে তাদের সেই দাবিপূরণ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।