এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটকর্মীদের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের পরেই পরীক্ষা নেওয়া হবে ভোটকর্মীদের। মূলত এবার ভোটে অনেক নতুন বিষয় সংযোজন হয়েছে। তাই ভোটকর্মীদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে ভোটকর্মীদের মধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ভোটকর্মীদের একাংশ।
আরও পড়ুনঃঅসুস্থতার অজুহাতে ভোটের কাজ থেকে মিলবে না অব্যাহতি, গঠন হচ্ছে মেডিক্যাল বোর্ড
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ভোটকর্মীদের তিনটি ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে একেবারে শেষ ধাপে অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের পর ভোটকর্মীদের ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন থাকবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, কোনও ভোটকর্মী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পুনরায় পরীক্ষা হবে সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীর।
সাধারণত ভোটের দায়িত্বে থাকেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের কী দায়িত্ব পালন করতে হবে? তা নির্বাচন কমিশনের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জেলাভিত্তিক ভোটের নির্ঘণ্ট মেনেই প্রশিক্ষণ হবে ভোটকর্মীদের। আর সব শেষে হবে পরীক্ষা। ফলে ফাঁকিবাজি আর চলবে না।
কাদের কাদের পরীক্ষা দিতে হবে সে বিষয়টিও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সাধারণত এক একটি বুথে ভোট পরিচালনার জন্য একজন প্রিসাইডিং অফিসার এবং তিন জন পোলিং অফিসার থাকেন । সেক্ষেত্রে চার জনকেই দিতে হবে পরীক্ষা।
জানা গিয়েছে, এবারের ভোটে অনেক নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে। তারফলেই এমন উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের। এককথায় ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজদের পক্ষ থেকে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন। কারণ ভোটকর্মীদের কোনকিছু ভুল হলে তার দায় বর্তাবে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে। তাই এমন উদ্যোগ।
তবে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন ভোটকর্মীরা। এবিষয়ে ভোটকর্মীদের সংগঠন ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের বক্তব্য, বহু ভোটকর্মী আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরেই ভোটের কাজ করে আসছেন। ফলে তাদের ক্ষেত্রে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু, নতুন ভোটকর্মীদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই অভিজ্ঞ ভোটকর্মীদের পরীক্ষা নেওয়ার কোনও মানে হয় না। ভোটকর্মীদের একাংশের মতে, এরফলে অযথা তাদের সময় নষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত, এবার একাধিক নতুন পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে এবার ছুটি নিতে পারবেন না ভোটকর্মীরা। সেক্ষেত্রে আবেদনকারী ভোটকর্মী সত্যিসত্যিই অসুস্থ কিনা তা জানার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে কমিশন। সেখানে পরীক্ষার পরেই মিলবে ছাড়পত্র।