দাদাগিরির ১০ নম্বর সিজনে তারকাদের ছড়াছড়ি। চলতি সপ্তাহে সৌরভের দাদাগিরির মঞ্চে আসছেন জি বাংলার হিট জুটি নীল-তিয়াসা। ‘কৃষ্ণকলি’ জুটির পাশাপাশি দাদার গুগলির মুখোমুখি হবেন জিতু কমল, শ্রীমা ভট্টাচার্যরা। এপিসোডের নতুন প্রোমো সামনে আসতেই হইচই।
ফিটনেসের ব্যাপারে ভীষণ কড়া সৌরভ। ডায়েট থেকে বহুদিন আগেই চিনি ছেঁটে ফেলেছেন মহারাজ। তবে আর পাঁচজন বাঙালির মতো 'ফুডি' দাদা। পৌষ পার্বন স্পেশ্যাল এই এপিসোডে দিদুনের হাতের বানানো পিঠে হাতে হাজির হয়েছিলেন তিয়াসা। কিন্তু দাদা চিনি খান না শুনে বেকায়দায় নায়িকা। পাশ থেকে শ্রীমার প্রশ্ন, ‘পিঠের মিষ্টি কী করে ছেড়ে দাও?’। তিয়াসার দিদুন পিঠে করে পাঠিয়েছেন শোনা মাত্রই সৌরভকে বলতে শোনা গেল- ‘তাহলে খেতে হবেই’।
এরপরই মাটির তালায় পিঠে সাজিয়ে দাদার সামনে পরিবেশন করেন তিয়াসা। এরপর একে একে সেই পিঠে তুলে দেন নিজের অনস্ক্রিন স্বামী নীল এবং অপর সহকর্মীদের মুখে। পরক্ষণেই সৌরভকে বলতে শোনা গেল- ‘আমি না নারকেলের পার্টটা পাইনি’। শুনেই হেসেখুন সকলে। হেঁটে এসে তিয়াসার থালা থেকে আরও খানিকটা পিঠের টুকরো তুলে নেন মহারাজ। এরপর তিয়াসার বাড়ি এসে আসা এই স্পেশ্যাল পিঠের প্রশংসা করে জানান- ‘সত্যি দারুণ খেতে…অসাধারণ’।
এর আগের প্রোমোয় দেখা গিয়েছে, দাদার উদ্দেশ্যে গুগলি ছুঁড়ছেন তিয়াসা। অভিনেত্রীর প্রশ্ন, 'তোমার বাঁ হাতের খেল কী?' দেরি না করেই চটপট উত্তর মহারাজের। দাদা জানান- 'দাদাগিরিতে প্রশ্ন করা। কারণ উত্তর দেবে তো তোমরা।' এটা শুনে সকলকেই হাসিতে ফেটে পড়েন। এদিন তিয়াসার অনস্ক্রিন স্বামীর মায়ের সঙ্গে অংশ নেন দাদাগিরিতে। সৌরভের অন্ধভক্ত নীলের মা। তিনি বলেন, '১৯৯২ থেকে আপনাকে দেখছি। সেই থেকে আপনার ফ্যান।' নীলও মায়ের সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, 'তুমি সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাও। ভারত থেকে বেঙ্গল থেকে সকলকে অনুপ্রেরণা জোগাও।' এটা শুনে প্রণাম জানান সৌরভ।
‘কৃষ্ণকলি’র পর স্টার জলসার ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল এই হিট জুটিকে। তবে পুরোনো সাফল্য ছুঁতে পারেননি বিক্রম-ইন্দিরা। মাসখানেক আগেই শেষ হয়েছে এই মেগা। নীলের টেলিভিশনে কামব্য়াকের জল্পনা বিস্তর। যদিও মাস দেড়েক আগেই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘এখন নিজেকে একটু বেটার করার ইচ্ছে রয়েছে। একটু শেখার ইচ্ছে, অনেককিছু যা শেখা হয়নি। একটু শিখে, নিজেকে একটু বেটার করে তারপর আবার ফিরতে চাই’। তিয়াসা কবে ফিরছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও অধরা।