সনাতন হিন্দু ধর্মের একটি বাৎসরিক উৎসব হল অম্বুবাচী। আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হয়ে চতুর্থ পদের শুরুতে অম্বুবাচী শুরু হয়। তার পর থেকে তিন দিন অম্বুবাচী আচার পালন করা হয়।
চলতি বছর অম্বুবাচীর তারিখ
অম্বুবাচী শুরু- ২২ জুন ২০২১ (৭ আষাঢ় ১৪২৮)
অম্বুবাচী সমাপ্ত- ২৫ জুন ২০২১ (১০ আষাঢ় ১৪২৮)
শাস্ত্র মতে, মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী মহিলারা সন্তান ধারণে সক্ষম হন। মনে করা হয়, অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। ধরিত্রী আমাদের সকলের জন্মদাত্রী মাতা। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অম্বুবাচীর সময়ে কৃষিকার্য বন্ধ রাখা হয়। জমিতে লাঙ্গল চালানো হয় না। আবার জমি খোঁড়া বা সমস্ত ধরনের কৃষিকাজ থেকে এ সময় বিরত থাকা হয়।
অম্বুবাচীর এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষ ভাবে পালন করেন। এমনকি এই তিন দিন মাঙ্গলিক কাজও নিষিদ্ধ থাকে। অম্বুবাচী শেষ হলে পুনরায় শুভ অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়। এই তিনদিন মন্দিরের দ্বার বন্ধ রাখা হয়। পুজোপাঠও নিষিদ্ধ থাকে এ সময়।
অম্বুবাচীর সময় অসমের কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সতীপিঠের অন্যতম এই কামাক্ষ্যা মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ। এই স্থানেই দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল। অম্বুবাচীর তিন দিন এই মন্দিরে বিশেষ উৎসব পালন করা হয়। এ সময় কামাক্ষ্যার মন্দির বন্ধ থাকলেও চতুর্থ দিনে সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হয়।