মানুষের জীবনে উত্থান-পতন থাকেই। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কোনও কোনও গ্রহের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে কোনও ব্যক্তি কখনও কখনও সমস্ত ধরণের সমস্যা এবং রোগ দ্বারা পরিবেষ্টিত হন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনিকে সমস্ত গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কুণ্ডলীতে শনি অশুভ ঘরে বসলে জাতকদের ভোগান্তি শুরু হয়।
মানুষের মনে শনি গ্রহকে নিয়ে ভয় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিদেবকে প্রশান্ত ও খুশি করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তার মধ্যে একটি হল নীলকান্তমণি পরিধান করা। এমন পরিস্থিতিতে যারা নীলকান্তমণি পরিধান করেন তাদের উপর শনিদেবের কৃপা ও ক্ষমা বজায় থাকে এবং সেই ব্যক্তি শনির শুভ প্রভাব দেখতে পান।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলে যে কোনও ব্যক্তি যদি শনির মহাদশা, অন্তর্দশা, সাড়েসাতি এবং ধাইয়ার দ্বারা প্রভাবিত হন তবে তার নীলকান্তমণি পরিধান করা উচিত।
বিশেষ করে কুম্ভ ও মকর রাশির জাতক জাতিকারা নীলকান্তমণি পরার বাড়তি সুবিধা পান।
জন্মকুণ্ডলীতে শুভ শনি থাকলেও নীলকান্তমণি পাথর পরিধান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া শনি ষষ্ঠ বা অষ্টম ঘরে থাকলেও নীলকান্তমণি পরা যেতে পারে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে নীলম পাথর পরার আগে অবশ্যই একজন ভালো জ্যোতিষীর পরামর্শ নিতে হবে।
নীলম পাথর কাদের জন্য উপযুক্ত নয়: নীলম পরার ফল সব মানুষ পায় না। কিছু লোক এর অশুভ এবং নেতিবাচক লক্ষণও পেতে শুরু করে। আসুন জেনে নেই সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে।
নীলম পাথরের প্রভাব খুব দ্রুত দৃশ্যমান হয়। যদি এই রত্ন আপনার পক্ষে অনুকূল না হয় তবে আপনার চোখ যন্ত্রণা শুরু করবে।
নীলকান্তমণি পরা ব্যক্তির সঙ্গে যদি দুর্ঘটনা ও শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে, তাহলে বুঝবেন এই রত্নটি আপনার জন্য শুভ নয়। অবিলম্বে তখন এটিকে অপসারণ করা উচিত।
যখন নীলম অশুভ হয়, তখনই ব্যক্তিটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে শুরু করে।
নীলম অনুকূল না হলে খারাপ এবং ভীতিকর স্বপ্ন আসতে শুরু করে।
নীলকান্তমণি পরার উপকারিতা ও শুভ লক্ষণ
নীলম যখন অনুকূল এবং শুভ হয়, তখন এটি পরার সঙ্গে সঙ্গেই শুভ ফল আসতে শুরু করে। প্রথমত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে তা থেকে উপশম আসতে থাকে।
নীলা শুভ হলে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির লক্ষণও দেখা যায়।
নীলকান্তমণি পরিধান করার পরে যদি আপনার সঙ্গে অশুভ কিছু না ঘটে, তবে বুঝতে হবে যে এই পাথরটি আপনার জন্য শুভ।
আপনার কুণ্ডলীতে যদি শনির মহাদশা চলে, তাহলে নীলকান্তমণি তার জন্য খুবই শুভ। নীলকান্তমণি পরার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল শনির প্রভাব অনেকগুণ বেড়ে যায়।
নীলকান্তমণি পরলে মনের একাগ্রতা বাড়তে থাকে যার ফলে কার্যক্ষমতা বাড়তে থাকে।
বৃষ রাশি এবং তুলা রাশিতে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের জন্য নীলকান্তমণি রাজ যোগের কারক।
নীলা অবিলম্বে পরা উচিত নয়। নীলকান্তমণি পরার আগে, এটি পরিধানকারীর জন্য উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করা উচিত।
নীলম পাথর বাড়িতে আনার পর গঙ্গাজল ভর্তি পাত্রে রেখে শনিবারে পরিধান করে এর প্রভাব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
শনিবারে ডান হাতের মাঝের আঙুলে নীলকান্তমণি পরতে হবে।
নীলম পাথর পরার আগে আপনার কুণ্ডলী দেখিয়ে একজন ভালো জ্যোতিষীর পরামর্শ নিতে হবে।