Rahu and Ketu: বছরের সবচেয়ে বড় গোচর রাহু কেতুর ট্রানজিট, অশুভ প্রভাব কাটাতে কী করবেন জেনে নিন

Updated: 30 Oct 2023, 07:00 PM IST Anamika Mitra

How to reduce bad effects of rahu and ketu: ৩০ অক্টোবর, রাহু কেতু উভয় গ্রহ রাশি পরিবর্তন করছে। এই দিন রাহু যাবে মীন রাশিতে আর কেতু যাবে কন্যা রাশিতে। উভয় গ্রহের শান্তির জন্য কিছু ব্যবস্থা উপকারী বলে মনে করা হয়। রাহু কেতুকে খুশি করতে কী করা উচিত, জেনে নিন এখান থেকে।

1/9জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহ এবং নক্ষত্রপুঞ্জের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করা হয়। প্রতিটি গ্রহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে তার রাশি পরিবর্তন করে। গ্রহগুলির এই ট্রানজিট মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহু-কেতুকে পাপী গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দুটি গ্রহকে ছায়া গ্রহ বলা হয়। রাহু-কেতু আজ তাদের রাশি পরিবর্তন করতে চলেছে। কুণ্ডলীতে রাহু-কেতুর দোষ থাকলে ব্যক্তি মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যায়। এতে তার ব্যাপক আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ অক্টোবর রাহু-কেতু পাড়ি দিতে চলেছে মীন ও কন্যায়।

2/9রাশিতে রাহু-কেতুর অবস্থান দুর্বল হলে তাদের শান্তির জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যবস্থাগুলির প্রভাবে, রাহু-কেতু শুভ ফল দিতে শুরু করে এবং ঝামেলা কমতে শুরু করে। আসুন জেনে নেই এই ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে।

3/9রাহু-কেতুকে খুশি করার উপায়: রাহু দোষের অশুভ প্রভাব এড়াতে যতটা সম্ভব নীল রঙের কাপড় পরিধান করা উচিত এবং কেতু দোষ এড়াতে গোলাপী রঙের কাপড় পরিধান করা উচিত। যাদের কুণ্ডলীতে রাহু-কেতুর অবস্থান দুর্বল তাদের মদ ও মাংস খাওয়া উচিত নয়। কেতু দুর্বল হলে, কুকুরের সেবা করা এবং যত্ন নেওয়া উপকারী।

4/9পঞ্চমুখী শিবের সামনে বসে রুদ্রাক্ষ জপমালা দিয়ে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করলে রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব কমে যায়।

5/9রাহু ও কেতু গ্রহকে শান্ত করার জন্য বাড়িতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি ছবি রাখুন যাতে তিনি শেষনাগের উপর নাচছেন। প্রতিদিন এই ছবিটির পুজো করুন এবং অন্তত ১০৮ বার ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ মন্ত্রটি জপ করুন। এই প্রতিকার করলে রাহু-কেতু শান্ত হয়।

6/9রাহু গ্রহের রত্ন হল গোমেদ। রাশিতে রাহু দোষ থাকলে শনিবার জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে এই রত্নটি পরা উচিত। এই রত্নটি পরিধান করলে মানুষ রাহুর দোষ থেকে মুক্তি পায়।

7/9রাহু-কেতুর অশুভ অবস্থা থেকে বাঁচতে বুধবার রাহু গ্রহ সংক্রান্ত জিনিসপত্র যেমন যব, সরিষা, মুদ্রা, সাত ধরনের শস্য (যব, তিল, চাল, আস্ত মুগ, কাঙ্গুনী, ছোলা, গম), গোমেদ রত্নপাথর, নীল বা বাদামী রঙের জামাকাপড় এবং কাচের জিনিস রাতে দান করতে হবে।