তুলসীকে দেবী মহালক্ষ্মীর অবতার বলে মনে করা হয়, যিনি প্রথম 'বৃন্দা' হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দাম্পত্য সুখ লাভের জন্য যুবতীরা পূর্ণ ভক্তি সহকারে দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবুথ্থানী একাদশীর দিন, ভগবান বিষ্ণু ৪ মাস দীর্ঘ ঘুমের পরে জেগে ওঠেন। তিনি জেগে উঠলেই সব শুভ কাজ শুরু হয় । এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর শালিগ্রাম অবতারের সঙ্গে মাতা তুলসীকে বিয়ে করার প্রথাও রয়েছে। আর এই দিন থেকেই শুরু হয় বিবাহ ও অন্যান্য সকল শুভকাজ। আসুন জেনে নিই তুলসী বিবাহের তিথি, মুহুর্তা, গুরুত্ব ও পূজা পদ্ধতি।
তুলসী বিবাহের শুভ সময়
কার্তিক দ্বাদশী তারিখ শুরু হয়: ৫ নভেম্বর, শনিবার, সন্ধ্যা ০৬.০৮
দ্বাদশী তারিখ শেষ হয়: ৬ নভেম্বর, রবিবার, সন্ধ্যা ০৫.০৬
বিবাহের শুভ সময়
৬ নভেম্বর, রবিবার, দুপুর ১:০৯ থেকে ০৩:১৮ পর্যন্ত
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী বিবাহের দিন মাতা তুলসী ও ভগবান শালিগ্রামের পুজো করলে ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উদ্ভূত সমস্যাও মিটে যায়।
তুলসী বিবাহের পূজা পদ্ধতি
প্রথমে একটি তুলসী গাছ স্থাপন করুন এবং একই জায়গায় শালিগ্রাম রাখুন।
তাদের পাশে একটি জল ভর্তি কলস রাখুন।
ঘি জ্বালিয়ে তুলসী ও শালিগ্রামে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন।
সিঁদুর, চন্দনের টিকা লাগান।
একটি পাত্রে মণ্ডপ তৈরি করুন।
এবার মধুর প্রতীক তুলসী মাকে লাল চুড়ি ইত্যাদি সাজের জিনিস নিবেদন করুন।
এরপর শালিগ্রাম হাতে নিয়ে প্রদক্ষিণ করুন তুলসী মাকে
তুলসী বিবাহ সম্পন্ন হলে সকলকে প্রসাদ বিতরণ করুন।
কথিত আছে যে তুলসীকে বিবাহ দিলে কন্যা সন্তান দান করার সমতুল্য হয়।
মানুষের জীবনের ঝামেলা ও ঝামেলা যেমন দূর হয়, তেমনি দাম্পত্য জীবনও ভালো থাকে তুলসী বিবাহ দিলে।