সমতল কার্যত টগবগ করে ফুটছে। সকাল থেকেই সূর্যিমামা একেবারে ফুলফর্মে ময়দানে নেমে পড়ছেন। গরম যেন ক্রমশ বাড়ছে। আর সেই পরিস্থিতিতে এবার স্বস্তি পেতে পাহাড়মুখী আম জনতা।
ট্রেনে সিট মিলছে না। অগত্যা ধর্মতলা থেকে বাস ধরে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে সোজা দার্জিলিং। অন্তত দিন তিনেকের জন্য স্বস্তি। দিনের বেলা সোয়েটার না পরলেও চলবে। তবে সন্ধ্যা থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করছে। সেকারণে হালকা একটা জ্যাকেট সঙ্গে রাখবেন।
ম্যালে একেবারে উপচে পড়ছে ভিড়। সেই সঙ্গে দার্জিলিংয়ে শীত পোশাকের দোকানগুলোতে একেবারে ঠাঁই নেই অবস্থা। ম্যালে ওঠার আগে ও ম্য়াল সংলগ্ন এলাকায় যে শীত পোশাকের দোকানগুলি রয়েছে সেখানে বাঙালি পর্যটকদের ভিড় একেবারে চোখে পড়ার মতো। সোয়েটার, টুপির দরদাম চলছে পুরোদমে।
দার্জিলিংয়ে ভোটপর্ব মিটে গিয়েছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও একেবারে উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছিল পাহাড়়ে। উত্তেজনার লেশমাত্র ছিল না। ভোটের দিনও পর্যটকরা ঘুরেছেন পাহাড়ে। আর ভোট মিটতেই একেবারে যেন গড়িয়াহাটের ভিড়।
সেই সঙ্গেই দার্জিলিং শহরে বাড়ছে যানজট। কিন্তু পর্যটক বাড়তেই বাড়ছে হোটেল ভাড়া। বাড়ছে গাড়ি ভাড়া। তবে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত ব্যাপারে কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
মূলত যেটা দেখা যাচ্ছে, এনজেপি, বাগডোগরা বা শিলিগুড়ি জংশন থেকে দার্জিলিং যাওয়ার যে গাড়িগুলি মিলছে তাতে ভাড়া ১০০০ থেকে ৫০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। এদিকে পর্যটকদের এত ভিড় যে বেশি টাকায় গাড়ি ভাড়া না নিলে উপায়ও নেই।
তবে পর্যটন সংস্থাগুলি জানাচ্ছে এই সময় পাহাড়ে যেতে গেলে আগে থেকে হোটেল বুকিং করে যাওয়াটাই ভালো। কারণ দার্জিলিং শহরে গিয়ে হোটেল খুঁজে থাকার কথা ভাবলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ম্যালের কাছাকাছি যে কয়েকটি বড় হোটেল রয়েছে সেখানেও খোঁজ নিতে পারেন।
সেই সঙ্গেই একটু অফবিট জায়গায় থাকার ইচ্ছা হলে হোম স্টের কথা ভাবতে পারেন। সেখানে আবার জনপ্রতি খাবার সহ ভাড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আগে থেকে বুক করে আসাটাই ভালো। তারাই গাড়ি পাঠিয়ে দেয়। না হলে পরিবার নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
এই সময় দার্জিলিংয়ে জলের কিছুটা সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খরচ না করাটাই ভালো। কারণ তাতে সমস্য়া হবে সকলেরই।