হাঁসখালিতে তৃণমূলি দুষ্কৃতী আমোদ আলি বিশ্বাস খুনে স্থানীয় এক দোকানদারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম খালেক মণ্ডল। হাঁসখালির রামনগরের বড় চুপড়িয়ার বাসিন্দা সে। এই ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের পুরনো শত্রুতাতেই খুন হয়েছেন আমোদ আলি।
শুক্রবার সকালে চায়ের দোকানে খুন হন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাস। তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। প্রাণ সংশয় বুঝে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, আমোদ আলি বিশ্বাস আসলে একজন দুষ্কৃতী। তাঁর বিরুদ্ধে বোমাবাজি, খুন, আগ্নেয়াস্ত্র মজুত সহ একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি। দিন সাতেক আগেই জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। তার পরই এই খুন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে খালেক মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ধৃত ঘটনাস্থলে ছিলেন কি না সেব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। প্রাথমির তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই এই খুন। সম্ভবত পুরনো শত্রুতার জেরে খুন করা হয়েছে আমোদ আলিকে। পুলিশের দাবিতে প্রশ্ন উঠছে, খুন, আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের মতো গুরুতর ধারায় অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সহ – সভাপতি হল কী করে?