পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল ব্লকের তামলা গ্রামে ডায়রিয়ার আতঙ্ক ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত কয়েকদিন থেকে একের পর এক অন্ডালের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও পর্যন্ত ২০-২৫ জন বাসিন্দা জলবাহিত রোগে অসুস্থ হয়েছেন। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের মধ্যে। ইতিমধ্যেই জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে অন্ডালের ওই গ্রামে একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে পেট ব্যথা, বমি প্রভৃতি সমস্যায় ভুগছেন তামলা গ্রামের বাউরি পাড়ার মানুষ। ওই গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। পানীয় জলের সংকট থাকায় টিউবওয়েলে জল না পেলে তখন পুকুরের জল ব্যবহার করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তার ফলেই জলবাহিত রোগ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পড়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। অভিযোগ, ওই গ্রামে এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে পানীয় জলের সংকট রয়েছে। তার উপর গত কয়েকদিন আগে তাপপ্রবাহের ফলে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই এখানকার বাসিন্দারা পুকুরের জল পান করছেন।
এই খবর পাওয়ার পরে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অন্ডাল এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস স্থানীয়দের সতর্ক করেছেন। সেইসঙ্গে এলাকায় স্থায়ী মেডিক্যাল টিম বসানো যায় কি না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
এদিকে, পানীয় জলের সংকটের মধ্যেই জলবাহিত রোগ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়কের লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আসছে। কিন্তু, কাজ হচ্ছে না। আবার সেই টাকা ফিরে যাচ্ছে। এর জন্য তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতকে দায়ী করেছেন তিনি। যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা ও কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিজেপির অস্তিত্ব বিপন্ন। তাই তারা এসব বলছে।’ তবে এটি ডায়রিয়া কি না তা এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।