‘কেষ্ট মোড়ল সব নিয়েছে, আমিও নেব’, মদ খেয়ে গড়াগড়ি দিতে দিতে বললেন পুলিশকর্মী

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বোলপুর শহরের লজ মোড়ের কাছে একটি মদের দোকানের উলটো দিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বোলপুর থানার এক উর্দিধারী কন্সটেবলকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

রাস্তার পাশে মত্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বোলপুর থানার পুলিশকর্মী।

থানার উলটো দিকে মত্ত অবস্থায় পড়ে বোলপুর থানার উর্দিধারী কন্সটেবল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বীরভূমের বোলপুরে। যদিও পুলিশের দাবি, প্রচণ্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলে তাঁকে প্রায় এক ঘণ্টাতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা কেন করল না পুলিশ?

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বোলপুর শহরের লজ মোড়ের কাছে একটি মদের দোকানের উলটো দিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বোলপুর থানার এক উর্দিধারী কন্সটেবলকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। মাঝে মাঝে হাত – পা নাড়ছিলেন তিনি। কাছে যেতেই টের পাওয়া যায় মদের গন্ধ। দিনে দুপুরে একজন আইনরক্ষক মত্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ওই অবস্থায় রাস্তার পাশে গড়াগড়ি খান তিনি। বলতে থাকেন, কেষ্ট মোড়ল আমার সব নিয়েছে আমিও নেব।

খবর পেয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বোলপুর থানার SI রাকেশ তামাং। তাঁর দাবি, প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। প্রশ্ন উঠছে, পুলিশকর্মী মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে থাকলে তাঁকে উদ্ধার করতে আসতে কেন ১ ঘণ্টা সময় লাগল পুলিশ আধিকারিকদের? এই সময় তো যে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে কি নিচু তলার পুলিশকর্মীদের প্রাণের কোনও দাম নেই বাহিনীর আধিকারিকদের কাছে? প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা পুলিশকর্মীকে উদ্ধারে কি তাই গড়িমসি? না কি সত্যি আড়াল করতে অসুস্থতার গল্প ফাঁদছে পুলিশ?