নবজোয়ার যাত্রায় গিয়েছিলেন, এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার সভা থেকে দলের প্রার্থীদের জানিয়ে দিলেন, ভোট জিতে যা খুশি করা যাবে না। মানুষের সঙ্গে 'প্রতারণা' করলে জিতলেও তাঁকে বাদ দেবে দল।
অভিষেক বলেন, ' ভোটে জিতে কোনও প্রধান যদি মনে করেন মানুষের সঙ্গে যা খুশি করবেন, তবে তিনি জেনে রাখুন আমি তিন মাস পর ৬৪ গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যালোচনা করব। কেউ যদি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন তবে তাঁকে বাদ পড়তেই হবে।' এর সঙ্গে তিনি আরও জানিয়ে দেন,'ভালো কাজ করলে তাঁর মেয়াদ বাড়াবে দল।' নির্দলদের উদ্দেশে তাঁর আবারও বার্তা,'নির্দল হয়ে যাঁরা লড়ছেন এখনও তাঁদের তৃণমূলে জায়গা নেই।' অভিষেক জানিয়ে দেন দু'মাস বাদে আবার আলিপুরদুয়ার আসবেন তিনি।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হওয়ার আগে থেকে, দলের যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়াবে, তাদের দলে থেকে বাদ দেওয়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সেই মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বের দেওয়া হয়েছে অভিষেকের নির্দেশে। এবার জয় প্রত্যাশী প্রার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন দলের সর্বভাবতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে তলব করে ইডি ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। সভা থেকে সায়নীর নাম ধরে কিছু না বললেও বক্তব্যে এদিন ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। অভিষেক বলেন, 'এতো ইডি-সিবিআই লাগিয়েছে, তিন বছরে রোজ নোটিস দিয়েছে। তবে আমাদের মেরুদণ্ড সোজা। তাই আমাদের গলা কাটলে জয় বাংলা বেরোবে।'
এ দিন তিনি লক্ষ্মী ভাণ্ডারের উল্লেখ করে বলেন, 'এই জেলার প্রত্যেক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। কোনও তৃণমূল প্রার্থী এখানে জেতেনি। কিন্তু তাও কোনও মহিলা বলতে পারবেন না যে তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাননি। কিন্তু বাংলায় মোদী হেরে আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছেন।'
একশ দিনের কাজ বন্ধ করার নিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সভা থেকে তিনি বলেন, 'এখানে প্রচুর মানুষ ১০০ দিনের কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রায় ছয় লক্ষ মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি যদি জেতে তবে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন মানুষ।