কালীঘাট থেকে হেঁটে আলিপুরের জেলাশাসক কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে এবার ময়দানে নেমেছেন। তবে শুধু হ্যাটট্রিকই নয়, পুরো রাজ্যের মধ্যে জয়ের মার্জিনের নিরিখে ডায়মন্ড হারবারকে পয়লা নম্বরে তুলে আনতে চান বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর প্রশ্ন, কাজের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার যদি এক নম্বর হতে পারে, তাহলে জয়ের মার্জিনের নিরিখে একেবারে শীর্ষে কেন থাকবে না ‘হাইপ্রোফাইল’ লোকসভা কেন্দ্র?
অভিষেকের কথায়, ‘আমি আশা করব, মানুষ যেভাবে আমাদের ভালোবাসা, আশীর্বাদ দিয়েছেন, একইভাবে ভালোবাসা আশীর্বাদ-বর্ষণ করে আমাদের জয়ের ধারা (অব্যাহত রাখবেন)। ডায়মন্ড হারবার থেকে জয়ের ব্যবধান শুধু বাড়াবেন না, যাতে বাংলার মধ্যেও জয়ের মার্জিনের নিরিখে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বরে থাকে, সেটা মানুষ যেন নিশ্চিত করেন, সেই আর্জি জানাব। যদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর হয়, তাহলে জয়ের মার্জিন এবং প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও (এক নম্বরে থাকার বিষয়ে) আমি আশাবাদী। মানুষ কখনও মুখ ফিরিয়ে নেন না।’
গতবারের লোকসভা ভোটে অভিষেকের জয়ের মার্জিন
২০১৯ সালে ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেকের জয়ের মার্জিন ছিল ৩.২ লাখের বেশি। এবার সেটা বাড়িয়ে যে কমপক্ষে চার লাখের গণ্ডি পার করতে চান, সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর আজ আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক বেশি ব্যবধানে ভোট জিততে চান বলে জানালেন অভিষেক। গতবার সেই রেকর্ড ছিল দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার দখলে ছিল। ৪.১৩ লাখ ভোটে জিতেছিলেন।
এবার সেই রেকর্ডের মালিক অভিষেক হবেন কিনা, তা আগামী ৪ জুন বোঝা যাবে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তাঁর বিরুদ্ধে কথাকথিত কোনও ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী না থাকায় অভিষেকের কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বিশেষত একাধিকবার চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরে নওশাদ সিদ্দিকি যেভাবে শেষমুহূর্তে ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়তে নামেননি, তাতে অভিষেক কার্যত ফাঁকা মাঠ পেয়ে গেলেন বলে মনে করছেন অনেকে।
‘ডায়মন্ড হারবারে উন্নয়নের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটেছে'
অভিষেক অবশ্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে তাঁর কোনও প্রতিপক্ষকে হালকা বলে দাবি করেননি। বরং তিনি দাবি করেছেন, গত ১০ বছরে ‘কর্মভূমি’ ডায়মন্ড হারবারে যে কাজ করেছেন, সেটার ভিত্তিতেই হ্যাটট্রিক করবেন। তিনি বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে যেভাবে উন্নয়নের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটেছে, সেটা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেটার শপথ হিসেবেই আজ মনোনয়নপত্র জমা দিলাম।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।'