'তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির শেষ পর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৬ জুন তাঁর এই র্কমসূচি শেষ হবে। তার আগে আজ বুধবার তিনি ছিলেন বারুইপুরের ফুলতলা বাজারে। সেখানে জয়নগরে এক রক্তদান শিবিরে গিয়ে রক্ত দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বারুইপুরের ফুলতলা বাজার এলাকা থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে নাগাদ এই কর্মসূচি শেষ হয় জয়নগরে।
জয়নগরের মজিলপুর পুরসভার পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। নবজোয়ার যাত্রা শেষ করে সেই রক্তদান শিবির পরিদর্শনে যান।
রক্তদান শিবিরে তিনি রক্তাদাতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি নিজেই সেই শিবিরে রক্তদান করেন।
পুরসভার মাঠের চিকিৎসকদের পরামর্শে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তিনি রক্তদান করেন। ওই রক্তদান শিবিরে ৩০০ থেকে ৩৫০ রক্তদাতা রক্দান করেন।
২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রের 'তৃণমূলে নবজোয়ার’ যাত্রা। কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হবে ১৬ জুন কাকদ্বীপে। ওই দিন সমাপ্তি সভায় উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এর আগেও 'নবজোয়ার’ যাত্রার একাধিক সভায় উপস্থিত থেকে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন। এবার সমাপ্তি সভাতেও তিনি উপস্থিত থাকবেন।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়, 'এই ভাবে তীব্র গরমে দীর্ঘ পথ হাঁটার পর তিনি রক্ত দিলেন, তা কার্যত উদারহণ সরূপ। কারণ তীব্র হরমে মানুষ রক্ত দিতে ভয় পান। কিন্তু অভিষেক রক্ত দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন। গরমে রক্ত দিলে কোনও সমস্যা হয় না।'
এই কর্মসূচি চলাকালীন তাঁকে দু'বার তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রথমবার ১৯ মে তাঁকে তলব করে সিবিআই। তিনি কর্মসূচি বন্ধ করে সিবিআই অফিসে হাজিরা দেন। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়।
এরপর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে অফিসে হাজির হতে বলেছিল ইডি। কিন্তু তিনি ১৫ পাতার চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ না পর্যন্ত তিনি হাজিরা দেবেন না।
চিঠিতে লিখেছেন, দলীয় কর্মসূচি নিয়ে কলকাতার বাইরে রয়েছেন তিনি। অপরদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিষেকের থেকে গত কয়েক বছরের নথি চেয়েছে ইডি। চিঠিতে অভিষেক জানান, ইডি যে নথি ও তথ্য চেয়েছে, তা সংগ্রহ করতে সময় লাগবে।