পুজোর মিটলেই লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে মাঠে নেমে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি তার অন্যথা করবে না। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অলআউট খেলে কী ভাবে প্রচারে করা হবে তার কর্ম পরিকল্পনাও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে গেরুয়া শিবিরের সূত্রের খবর। তবে দিল্লির মাথা ব্যথা রাজ্য বিজেপির অন্দরে দলীয় কোন্দল। তাই পুজো শেষ হলেই কর্মসমিতির বৈঠক করবেন জেপি নড্ডা। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই কর্মসমিতির বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বিভিন্ন জেলায় দলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা নেতাদের সঙ্গে রাজ্যস্তরের নেতাদের সমন্বয়ের অভাব নজরে এসেছে। বার বার বলা সত্ত্বেও এখনও বুথ স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায়নি। মণ্ডল স্তরের অবস্থাও ঢিলে ঢালা। এই পরিস্থিতিতে কর্মসমিতির বৈঠকে নড্ডা কড়া বার্তা দিতে পারেন রাজ্য ও জেলাস্তরে নেতাদের।
লোকসভা ভোট অবধি রাজ্যে সংগঠন দেখার দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তিনি রাজ্য নেতাদের কাজকর্মে খুশি নন। তিনি সম্প্রতি বোলপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কমিটি তৈরির ক্ষেত্রে কাজের নয়, কাছের মানুষকে বসানো হয়েছে। এমন কী তিনি ফেসবুকে দলের রাজ্য নেতাদের উদ্দেশ করে 'ঘর শক্র বিভীষণ' মন্তব্যও করেছেন। দিল্লিতেও এই বার্তা পৌঁছেছে। সে দিক থেকে দেখলে পুজোর পর কর্মসমিতির বৈঠক যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।
(পড়তে পারেন। পঞ্চায়েত ভোটের ৩ মাস পর হাইকোর্টের রায় জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী)
পুজোর পর জোরদার প্রচার
কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ নাগাড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্র যদি বকেয়া টাকা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় তবে আবার তিনি আন্দোলন শুরু করবেন। এই অবস্থায়, পাল্টা হিসাবে প্রচারে নামবে রাজ্য বিজেপি। মানুষকে বোঝানো হবে তৃণমূল দুর্নীতি করেছে বলেই কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। কারণ না হলে মানুষের কাছে উল্টো বার্তা যাবে।
লোকসভা ভোটকে নজরে পুজোর পর প্রচারে নামছে বিজেপি। প্রত্যেক বিধানসভায় প্রচার চালাবে গেরুয়া শিবির। সভা হবে। সঙ্গে লিফলেটও বিলি করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা এই প্রচার থাকবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধানসভাভিত্তিক প্রচার চালানোর জন্য। তৃণমূল যেখানে বঞ্চনাকে হাতিয়ার করেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, তেমনি শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে প্রচারের হাতিয়ার করবে বিজেপি।