চলতি আইপিএলে ফের হাফ-সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচ জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তা সত্ত্বেও ম্যাচের নায়ক অন্য কেউ। আসলে আরসিবির ব্রিটিশ তারকা উইল জ্যাকস ব্যাট হাতে যে রকম তাণ্ডব চালান, তার পরে অন্য কাউকে ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া সম্ভব ছিল না।
রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৪-এর ৪৫তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গুজরাট টাইটানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নেয় আরসিবি।
ঘরের মাঠে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গুজরাট টাইটানস। মাত্র ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসলেও তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন সাই সুদর্শন ও শাহরুখ খান।
সুদর্শন ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪৯ বলে ৮৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। সব মিলিয়ে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন সাই। শাহরুখ খান ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকান। তিনি ৩০ বলে ৫৮ রান করে মাঠ ছাড়েন।
এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহা ৪ বলে ৫ রান করেন। ১৯ বলে ১৬ রান করেন শুভমন গিল। ১৯ বলে ২৬ রান করে নট-আউট থাকেন ডেভিড মিলার। আরসিবির হয়ে ১টি করে উইকেট নেন স্বপ্নিল সিং, মহম্মদ সিরাজ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আরসিবি শুরু থেকেই ঝড় তোলে। তারা মাত্র ১৬ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৪ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। মাত্র ৪১ বলে শতরান করে ম্যাচের নায়ক হয়ে দেখা দেন উইল জ্যাকস। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে জ্যাকস সাহায্য নেন ৫টি চার ও ১০টি ছক্কার।
চলতি আইপিএলে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম শতরানের নজির। সার্বিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে জ্যাকস পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরির সর্বকালীন নজির গড়েন। তিনি ব্যক্তিগত ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ তারকা এদিন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সুতরাং, হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তিনি মাত্র ১০টি বল খরচ করেন।
জ্যাকস দ্বিতীয় ইনিংসের ১৫তম ওভারে মোহিত শর্মার বলে ৩টি ছক্কা ও ২টি চার মারেন। ১৬তম ওভারে রশিদ খানের বলে ৪টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন তিনি। আরসিবি শেষ ২ ওভারে মোট ৫৮ রান সংগ্রহ করে।
অন্যদিকে বিরাট কোহলি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪৪ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। গুজরাটের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন সাই কিশোর।