তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের উপর হামলার অভিযোগে পালটা বিজেপির নির্মীয়মাণ পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির খানাকুলের রঞ্জিতবাটির রায়পাড়া এলাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডারা তাদের নির্মীয়মাণ পার্টি অফিসে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার পাশে একটি পুজো মণ্ডপ ছিল। সেটি আগুনে পুড়ে যায় বলে অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে মারধর, স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে এই খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় ছুটে যান খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক। অন্যদিকে, এই ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। তবে বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হলেও সেই অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী জানান, জেলা পরিষদের সদস্য কাশীনাথ মণ্ডলের বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে বিজেপি। তাছাড়া প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশরকে মারধর করেছে বিজেপি। তারাই সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আর ওরাই পালটা আগুন লাগানোর মিথ্যা খবর রটাচ্ছে।
প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে বিজেপি শান্ত খানাকুলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে সেখানে একটি পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছিল। সেই পার্টি অফিসে তৃণমূলের গুন্ডারা রাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পাশেই সরস্বতী পুজোর প্যান্ডেল ছিল। সেখানেও আগুন লেগেছে। তাছাড়া পাশে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। সেখানেও আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তৃণমূল এই কাজ করেছে তাই প্রশাসন এখন চুপচাপ বসে আছে।