কথা রাখেননি রাজ্যপাল। উপচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত হয়েছিল তার কোনওটাই রূপায়ণ করেননি সিভি আনন্দ বোস। সোমবার শীর্ষ আদালতে এই অভিযোগ জানালেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটাতে রাজ্যকে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু প্রথম রাজ্যপাল জানান এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কোনও লিখিত নির্দেশ নেই। কিন্তু এই মন্তব্যের জন্য বোসের আইজীবীকেই প্রশ্নের মুখে হয় শীর্ষ আদালতের কাছে। শেষ পর্যন্ত গত বছর ডিসেম্বর মাসে উপাচার্য নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে ঠিক রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া নামের তালিকাই বিবেচনা করবেন তিনি। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। আইনজীবীর অভিযোগ, উল্টো তাঁর মামলা লড়ার খরচ রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যপাল।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ, কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেলারেল বেঙ্কটরমানিকে এ নিয়ে খোঁজ নিতে বলে। তিনি আদালতে বলেন, রাজ্যপালের সব পদক্ষেপকেই রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
বিচারপতি বলেন, তিনি এখনও মনে করেন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সামধান হওয়া উচিত। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হোক।
(পড়ুন। : অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা, চেম্বারে রামপুজো, প্রসাদ বিলি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারের)
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট চাইলে উপাচার্য নিয়োগে বাছাই কমিটি তৈরি করে দিতে পারে। কিন্তু তা চায় না শীর্ষ আদালত। আদালত চায় আলোচনার মাধ্যমে বিবাদের মীমাংসা হোক। বেঞ্চ জানায়, তারা আলোচনার জন্য আরও কিছুটা সময় দেবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই শুনানির আগে রাজ্যকে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ে মীমাংসা করে ফেলতে হবে সমস্যার।
(পড়ুন। আর্থিক অনটনে জেরবার! ব্রিজে চড়লেন মাঝ বয়সি, বিরিয়ানি ও চাকরির আশ্বাসে নামাল কলকাতা পুলিশ)
রাজ্যপালের থেকে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নিতে বিল এনেছে রাজ্য। সেই বিল এখন রাজ্যপালের টেবিলে। চাইলে রাজ্যপাল বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন বা সই করতে পারেন। কিন্তু তিনি কিছুই করছেন না। তা আটকে রেখে দিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়েও শুনানিতে আলোচনা হয়েছে সোমবার।