পার্কসার্কাসের ৪ নম্বর ব্রিজে ভর দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এক মাঝবয়সি ব্যক্তি ব্রিজের লোহার কাঠামোয় উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সোমবার। প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় বিরিয়ানি ও চাকরির আশ্বাসে ওই ব্যক্তিকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। ওই সময় ধরে ব্যাহত হয় যানচলাচলও।
কড়েয়া থানার পুলিশ এবং ইস্টগার্ডেসর একটি যৌথ দল ওই ব্যক্তিকে ব্রিজ থেকে নামিয়ে আনে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আগে টাইলসের ব্যবসা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি গুরুতর আর্থিক সঙ্কটে পড়েন। এই আর্থিক সঙ্কট নিয়ে বাড়িতে নিয়ম অশান্তিও হতো। এই আর্থিক সমস্যার জেরে কড়েয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে। ছোট মেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে চলে গিয়েছেন। বড় মেয়ের বাবার সঙ্গে থাকতেন। যদিও তিনিও এই আর্থিক সমস্যা নিয়ে জেরবার ছিলেন।
পড়ুন। পরিবেশ আদালতের ভর্ৎসনার পরেই গঙ্গার ঘাট প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত করতে নির্দেশ মুখ্যসচিবের
এক পুলিশ আধিকারিক কথায়, ‘ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি মেয়েকে নিয়ে বাইকে করে সায়েন্সসিটির দিকে যাচ্ছিলেন। ব্রিজেও ওঠার মুখে হঠাৎ বাইক থামিয়ে তিনি মেয়েকে বলেন, আমার মোবাইলটা পড়ে গিয়েছে। আমি খুঁজে আনছি। এর পর তিনি হঠাৎ ব্রিজের লোহার পিলার বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করেন। ব্রিজের একবারে মাথা চড়ে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ’
পড়ুন। রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে নয়া নির্দেশিকা, দিনে ৩ বার পরিষ্কার করা হবে শৌচাগার
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও ভাবে উনি যদি পড়ে যেতেন তবে তা বিদ্যুতের খুঁটি বা রেল লাইনের গিয়ে পড়তেন। কিন্তু ঘটনাটি দেখতে পেয়েই স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা ছুটে আসেন। তার পর দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে খবর দেওয়া হয়। নানা কিছু বলেও তাঁকে ব্রিজের মাথা থেকে নামানো যায়নি। এর পর পুুলিশ তাঁকে বিরিয়ানি ও চাকরি প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে তিনি ব্রিজ থেকে নামতে রাজি হন।
কড়েয়া থানা পুলিশ ও ইস্টগার্ডের সহযোগিতায় তাঁকে ব্রিজ থেকে নামানো সম্ভব হয়।
পড়ুন। কলকাতা মেট্রোর পরিষেবায় কাটছাঁট, ৪০টির বেশি ট্রেনের চাকা গড়াবে না, মঙ্গলে কি অমঙ্গল?