প্রধানমন্ত্রী আরামবাগে সভা করতে এসে বলেছেন, তিনি টাকা লুঠ হতে দেবেন না। আর গরিবের টাকা তিনি ফেরাতে বাধ্য করবেন। এই কথা যখন বলছিলেন আরামবাগের কালীপুর মাঠে তখন ছিল আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। সেখানে ভিড় করেন কর্মী–সমর্থকরা। আর এই ভিড়ে পকেটমার ও ছিনতাইবাজ নিজেদের কাজ করতে শুরু করে। বিজেপি নেতা–কর্মীদের এখানেই পকেট থেকে মোবাইল–মানিব্যাগ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। এক মহিলার গলার হার ছিনতাই করার চেষ্টা হয়। এক কেপমারকে ধরে ফেলা গিয়েছে। এখানের মাঠের বাইরে পুলিশ ক্যাম্পে অনেকেই মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির অভিযোগ জানান। তাঁদের আরামবাগ থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। সুতরাং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
এদিকে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বিধানসভার কুড়ম্বা এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ব্রজগোপাল ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন। তাঁর মোবাইল খোয়া গিয়েছে। এই নিয়ে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্রজগোপাল ঘোষের বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এসেছিলাম। মাঠের মধ্যে কিছুক্ষণ পর পকেটে হাত দিয়ে দেখি মোবাইল নেই। পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে চুরির অভিযোগ জানাই। আমাকে বলা হয়েছে আরামবাগ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে।’ সুতরাং মোদীর সভায় পকেটমারদের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে।
আরও পড়ুন: ‘আমি ওর হয়ে কাজ করব না’, মমতাকে বার্তা দিয়ে সুদীপকে তুলোধনা করলেন তাপস
অন্যদিকে এই ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে। আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সভা আছে কৃষ্ণনগরে। সেখানেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী আরামবাগের সভা নিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, আমাদের মানিব্যাগ চুরি গিয়েছে। পিছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখা ছিল। এক হাজার টাকাও ছিল। মাঠের ভিড়ের মধ্যে কেউ পকেটমারি করে নেয়। আমাদের অনেকের মানিব্যাগ, মোবাইল চুরি গিয়েছে। এই ভিড়ে পকেটমাররা মিশে ছিল। দূর থেকে এসে এখন চরম বিপদ হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের কাছে আরও অনেকের অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। হাওড়া থেকে আরামবাগে এসেছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। তাঁরা সভা শেষে জানান, মাঠে আমাদের পাশে একজন মহিলা ছিলেন। এক যুবক পিছন থেকে তাঁর গলার হার ছিনতাই করে। তখন আমরা কয়েকজন মিলে ওই ছিনতাইবাজকে ধরে ফেলি। মাঠে কর্তব্যরত পুলিসের হাতে তুলে দিই। আরামবাগ থানার পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা থেকে বেশ কয়েকজনের মোবাইল–মানিব্যাগ চুরি যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। হার ছিনতাইয়ের চেষ্টায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।