আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্রে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার পর তৃণমূলের দুই নেতা কুণাল ঘোষ ও শশী পাঁজা প্রশ্ন তোলেন এই অনুষ্ঠানের কী আদৌ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তাকেই কার্যত শিলমোহর দিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তমের দাবি, অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি পুলিশের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পেয়েই তারা সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আসানসোল হাসপাতালে যান পুলিশ কমিশার। সেখানে তিনি বলেন,'খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শিবচর্চার নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এলাকার মানুষের থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাইরে থেকে অনেকে এসেছিলেন। কম্বল বিতরণ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে তিনজন মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পাঁচজন আহত হয়েছেন। কী ভাবে এই ঘটনা হল তা নিয়ে তদন্ত হবে। '
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলনেতা আসানসোলে আসছেন বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল। কিন্তু কী অনুষ্ঠানে হবে তা বিস্তারিত ভাবে পুলিশকে জানানো হয়নি।
কিন্তু ঘটনার পর যখন এই অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারির লেটারহেডে লেখা একটি চিঠি টুইট করেন। সেই চিঠিতে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য আসানসোল থানার কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল গত ৩ ডিসেম্বর। শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি যখন ঘটনাস্থলে ছিলেন তখন পুলিশি ব্যবস্থার খামতি ছিল না। কিন্তু পরে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন, তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়।