ত্রিপুরা থেকে এসেছে একটি সিংহ ও অপরটি সিংহী। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে এসেছে সেই এক জোড়া সিংহ। সিংহের নাম রাখা হয়েছে আকবর। আর সিংহীর নাম সীতা। আর তারপরই একেবারে হইহই ব্যাপার। তীব্র আপত্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সিংহীর নাম কেন সীতা রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাও হয়েছে।
এদিকে এনিয়ে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে একটি সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানে তিনি জানিয়েছেন,নতুন নামের বিষয়ে এক্তিয়ার আমাদের হাতে নেই। এই এক্তিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর আছে। তিনি নাম দেবেন। নাম রাখবেন কি রাখবেন না, কোন নাম রাখবেন সেটা তাঁর বিষয়। তিনি যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেইভাবেই হবে। এই সময়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। তবে নামকরণ যে এখানে হয়নি তানিয়েও ইঙ্গিত দেন তিনি।
তবে এবার বিপাকে পড়ে সিংহীর নাম বদল হবে কি না সেই প্রশ্নও উঠছে। তবে হিন্দুত্ববাদীরা এই সীতা নাম নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছেন। এমনকী পুরুষ সিংহের নাম আকবর আর সিংহীর নাম সীতা হয় কি করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে সিংহীর সীতা নাম নিয়ে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এসবের মধ্য়ে আবার বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর কমল সরকারকেও বদলি করে খড়্গপুরের হিজলি ফরেস্ট ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে।
তবে এই নাম বিতর্কের জেরে ত্রিপুরা থেকে আসা ওই দুজনকে দেখার প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। তবে আপাতত দুজনকেই নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে পর্যটকরা এসেই খোঁজ নিচ্ছেন সীতা কোথায় গেল? আকবর কোথায়?
তবে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে সিংহীর নাম বদলায় কি না সেটাও দেখার।
ত্রিপুরার বিশালগড়ে অবস্থিত সিপাহিজলা জুলজিকাল পার্ক থেকে একজোড়া সিংহ এসেছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। পশু বিনিময়ের অঙ্গ হিসাবে এই সিংহ এসেছে শিলিগুড়িতে। এদিকে স্বাভাবিকভাবে নতুন জায়গায় আসার পরে তাদের নামকরণও করা হয় বলে অনেকের দাবি। সেই মতো সিংহের নাম রাখা হয়েছে আকবর আর সিংহীর নাম রাখা হয়েছে সীতা। এখানেই মূল সমস্যা। সিংহীর নাম কেন সীতা রাখা হল তা নিয়েই আপত্তি তুলেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সূত্রের খবর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে খবর। মূলত সিংহীর সীতা নামকরণ নিয়েই আপত্তি তুলেছেন তারা।