দেওয়াল লিখে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সোমবার হুগলিতে প্রচারে নামলেন তিনি। দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি, তার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন হুগলি থেকেই তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। এবার শুরু করলেন দেওয়াল লিখন।
দিন কয়েক আগেই লকেটের নামে পোস্টার পড়েছিল শ্রীরামপুরে। বৈদ্যবাটি, শেওড়াফুলি ও শ্রীরামপুরে দেওয়া ওই পোস্টারে লেখা ছিল শ্রীরামপুর লোকসভায় তাঁকে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। কে বা কারা ওই পোস্টার দিয়েছিল জানা যায়নি। তারপর বিজেপি সাংসদ দলীয় কার্যলয়ে বসে জানান তিনি এবারও হুগলি থেকে লড়বেন।
সোমবার প্রথমে তিনি কেওটা এক নম্বর কলোনি বটতলায় দেওয়াল লেখেন। পরে তিনি চুঁচুড়া পিয়ারাবাগানে দেওয়াল লেখেন। তবে যেহেতু এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি তাই তিনি দেওয়ালে কোনও প্রার্থীর নাম লেখেননি। শুধু দলের পদ্ম প্রতীক আঁকেন।
পড়ুন। সন্দেশখালির জের, এবার হিঙ্গলগঞ্জে বন্ধ করা হল ইন্টারনেট
পড়ুন। ‘যতদূর সম্ভব’ সবাই অ্যারেস্ট হয়ে গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দাবি মমতার
তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা শুরু করেছিলেন। সারা দেশ জুড়ে এই কর্মসূচি চলছে। রাজ্য সভাপতিরা করেছেন। এবার সাংসদ বিধায়ক জনপ্রতিনিধিরা একদম বুথ স্তরের কর্মীরা এই কর্মসূচিতে দেওয়াল লিখবেন। দেওয়াল লিখনে আমরা এটাই বলতে চাইছি আবার একবার মোদি সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শা যে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন ৩৫ টি আসন বাংলা থেকে সেই লক্ষকে পাখির চোখ করে নেমেছি। টার্গেট আমরা পূরণ করব।'
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে
এদিন সাংসদ সন্দেশখালি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন লোকেট। নাম না করে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'একজন মহিলা হিসাবে বলছি। খুব লজ্জা বিষয়। আমিও শিল্পজগত থেকে এসেছি। মানুষের সেবায় যখন কেউ নিমজ্জিত হয়, তখন সব কিছু ত্যাগ করতে হয়।একদিকে সন্দেশখালি জ্বলছে।আর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে একটা বাক্যও বেরোয়নি। যেভাবে মহিলারা অত্যাচারিত হচ্ছে। সেখানে সাংসদকে নিয়ে কিছু আশা করাটাই অনুচিত।'
যদিও সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সোমবারই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেশখালির ঘটনায় ‘যতদূর সম্ভব’ সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, 'মহিলাদের মানসম্মান লুট হয়েছে সন্দেশখালিতে। সেখানকার মহিলারা বলছে এটা কী জেলখানা। পাঁচশ, হাজার টাকা দিলাম আর মহিলাদের কিনে নিলাম। হাজার টাকা দিয়ে মহিলাদের শাহজাহানদের ঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছে।'