লাগাতার বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে গত দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এবার হিঙ্গলগঞ্জেও বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট। প্রশাসনের দাবি, উত্তপ্ত সন্দেশখালির প্রভাব যাতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে না পড়ে সে কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত রয়েছে সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহান ও তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতারির দাবি সন্দেশখালির মানুষ লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই বিক্ষোভে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে মহিলারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তি উত্তর সর্দারকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও নিখোঁজ শাহজাহানের আরেক ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা।
শনিববার শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে বিক্ষোভে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল উত্তপ্ত জনতা। অন্যদিকে শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে হয় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে ।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয় সন্দেশখালিতে। মোট ১৬ টি পঞ্চায়েত জুড়ে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
প্রশাসনের অশঙ্কা সন্দেশখালির আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। সে কারণে হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। যেহেতু এলাকাটি সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত তাই বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তাও।
সন্দেশখালির আঁচ বিধানসভাতেও
সোমবার অধিবেশন শুরুতেই সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু কবে বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা ‘সঙ্গে আছি সন্দেশখালি’ লেখা গেঞ্জি পরে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন। দেখেই ক্ষুব্ধ হন স্পিকার তিনি গেঞ্জি খুলে ফেলার জন্য অনুরোধ করেন বিজেপি বিধায়কদের। কিন্তু স্পিকারের সেই নিষেধ না শুনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিধায়করা। ওয়েলের কাছে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
এর পর পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা-সহ ৬ বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ৬জনকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার। পড়ুন বিস্তারিত: সন্দেশখালি ইস্যুতে বিধানসভায় বিক্ষোভ, সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৬ বিজেপি বিধায়ক
আরও পড়ুন: ‘যতদূর সম্ভব’ সবাই অ্যারেস্ট হয়ে গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দাবি মমতার