দেগঙ্গায় এসে বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’ হতাশ হয়ে পড়েছিল। কারণ বিজেপির পাঁচ মহিলা সাংসদের ওই দল এদিন দেগঙ্গার বেশ কয়েকটি জায়গায় যায়। কিন্তু কোথাও তেমন বিজেপি কর্মীদের ‘আক্রান্ত’ হওয়ার বিষয়টি নজরে আসেনি তাঁদের। তাতে চাপে পড়ে যায় ওই টিমের সদস্যরা। এখানে তেমন লাভ না হওয়ায় আজ, বুধবার হাওড়ার আমতায় আসে বিজেপির পাঁচ মহিলা সাংসদের তথ্যানুসন্ধান দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং পরে আমতা বিধানসভার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। তাই আজ এখানে এসে তাঁরা হাজির হন।
আজ, বুধবার সকালে আমতায় পৌঁছন রমা দেবী, কবিতা পাটিদার, অপরাজিতা সারঙ্গি, সন্ধ্যা রায় এবং সরোজ পাণ্ডে। সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন সদস্যরা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে ভাবিত নয়। কারণ হাওড়ায় যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা বিজেপির। এমন কোনও তথ্য প্রমাণ সামনে আনতে পারেননি বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তাই এই সাংসদ নিয়ে তৈরি টিমও হাওড়া নিয়ে যা অভিযোগ তুলবেন সেটি মনগড়া বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।
এদিকে বিজেপি সাংসদদের প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হয়েছে। বিরোধী রাজনীতি করলে আক্রমণ করা হয়েছে। পরিবারের উপরও আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। বাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়ে কেন এসব দেখছেন না? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যা তথ্য তাঁরা জোগাড় করেছেন সেগুলি নয়াদিল্লি ফিরে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে রিপোর্ট হিসাবে পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা এখানকার সব রিপোর্ট বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে দেব। এখানে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘পদ কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে দু’মিনিট সময় লাগবে না’, কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মিত্র মদন
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির সাংসদরা? এখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাঁচ মহিলা সাংসদ। খানিকটা বিজেপির প্রচার করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। বিজেপি সাংসদ রমা দেবী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত। কেমন করে গ্রামীণ গরিব মানুষদের উন্নয়ন করেছেন তিনি। তাঁদের রুজি–রোজগার বাড়াচ্ছেন। বাড়িঘর, পানীয় জলের ব্যবস্থা করছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে গরিব মানুষদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন।’