কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগে দলের মধ্যে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। কিছুদিন ধরেই বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বিক্ষুব্ধরা অনেকেই প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখা শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে চুঁচুড়ায় বিজেপির ডাকা আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে ডাকা হল বিক্ষুব্ধ নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।উল্লেখ্য, পরের মাসের শুরুর দিকেই বঙ্গ সফরে আসার কথা অমিত শাহের।
এর আগে দলীয় কর্মসূচিতে বহুবার ডাকা হয়নি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন, সব মিটিংয়ে সকলকে যে ডাকতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। সাম্প্রতিককালে কলকাতায় যে মিছিল হয়ে গেল, সেখানেও লকেটকে ডাকা হয়নি। এমনকি অমিত শাহের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকেও তাঁকে ডাকা হয়নি। কিন্তু এবারে অবশ্য দিল্লির নির্দেশে ডাকা হচ্ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে যে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন লকেট। এরপরই দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চুঁচুড়ায় বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিতে লকেটকে রাখতে হবে। তবে এরইমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে দিয়েছেন, তাঁর পায়ে চোট থাকায় তিনি এদিনের মিছিলে থাকতে পারছেন না। কিছুদিন আগে তমলুক জেলার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শুভেন্দু। ফলে বিজেপির অন্দরে তাঁকে ঘিরে অস্বস্তি রয়েছেই।
এর আগে দলের কিছু কাজ কর্মের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বিজেপি সাংসদের পুরনো কর্মীদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে ‘কোটা’র ওপর গুরুত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের পুরভোটে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের আত্মবিশ্লেষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেছিলেন তিনি। লকেটের এই কথা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অনেকের কাছেই ভাল লাগেনি। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লকেটকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘নিজের দায়িত্ব পালন না করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো ঠিক নয়। এটাকে আত্মবিশ্লেষণ বলে না।’