উত্তর দমদম পুরসভায় নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকেন পুরকর্মীরা। তা সত্ত্বেও কিছু এলাকায় রাতের অন্ধকারে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। যার ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে পুরকর্মীদের। তাছাড়া শহরও কলুষিত হচ্ছে। যদিও কে বা কারা এই আবর্জনা ফেলছে তা কিছুতেই জানা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এবার ওই সমস্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। মূলত যে সমস্ত এলাকায় যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানেই এই সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে পুরসভা।
আরও পড়ুন: Smart City: আরও ১৮টি স্মার্ট সিটির জন্য ১,৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র!
কলকাতার মতোই উত্তর দমদম পুরসভায় পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ করে থাকেন পুরকর্মীরা। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে এই সমস্ত আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকেন তাঁরা। সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকজাত সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। তবে কিছু জায়গায় অতিরিক্ত বর্জ জমা হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়ছেন পুরকর্মীরা। ফলে তাঁদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। সেখান থেকে ময়লা তুলে নিয়ে গিয়ে আলাদাভাবে ফেলে দেওয়া হচ্ছে ভাগাড়ে। মূলত এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের একাধিক জায়গায়। সেখানে আবর্জনার পরিমাণও আগের থেকে বেড়েছে। শুধু তাই নয় , পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যও আলাদাভাবে ফেলা হচ্ছে না। সেগুলি একসঙ্গে ফেলা হচ্ছে। সাধারণত পুরসভার পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার পরে এই পুর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলার পরিমাণ কমেছে। তবে এখনও অনেকেই যত্র তত্র আবর্জনা ফেলছেন। ফলে কে বা কারা ওই সমস্ত এলাকায় পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য একসঙ্গে ফেলছেন তাদের চিহ্নিত করতে চাইছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, আগের থেকে আবর্জনা আলাদা ভাবে ফেলার ক্ষেত্রে স্থানীয়দের আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে। তবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হলে বরদাস্ত করা হবে না। আবর্জনা পড়ে থাকা মানে পুরসভার কাজ নিয়ে, নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়। সেই কারণে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরসভার তরফে এলাকা পরিষ্কার রাখার উপর সবসময় জোর দেওয়া হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে সাড়া দিচ্ছেন। তবে যে সমস্ত এলাকায় যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে নজরদারি বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জায়গাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।