হাওড়া ও কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনীর পাশাপাশি র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্সকেও কাজে নামানো হয়। শিবপুর অশান্তির জেরে নবান্নের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা–সহ রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। আর বিজেপি রাজনীতি শুরু করে। এবার এই ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। শিবপুর থানার হাত থেকে তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সুতরাং রাজনীতির অবসান ঘটে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে বলে মনে করছেন হাওড়া, শিবপুরের বাসিন্দারা।
এদিকে তদন্তভার সিআইডি’র হাতে যাওয়ায় আজ, শনিবার থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সিআইডি’র স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ–সহ বিভিন্ন শাখা তদন্তে যুক্ত থাকবে। এমনকী থাকবেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসাররা। সুতরাং এবার ‘দুধ কা দুধ, পানি কা পানি’ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ কারা এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে সেটা বেরিয়ে আসবে। শুক্রবারও শিবপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। কাজিপাড়া, ফজিরবাজার, কুণ্ডলবাগান থেকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তাণ্ডব চালায় গোটা এলাকা জুড়ে। তারপরই জারি হয়ে যায় ১৪৪ ধারা।
অন্যদিকে রাত পর্যন্ত এই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের ফোর্স। হাওড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে রাজ্যপাল একটি বিশেষ সেলও তৈরি করেছেন। রাজ্য প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে বলে আশাও ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল। এখন দেখার বিষয় হল, সিআইডি তদন্তে নেমে কি তথ্যপ্রমাণ পায়। তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
আর কী জানা গিয়েছে? এখন হাওড়া–শিবপুরের বহু জায়গায় রাত থেকে ইন্টারনেট কাজ করছে না। বিশেষ করে যে জায়গায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক করা হবে বলে খবর। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত এবং এলাকায় সিআরপি মোতায়েনের দাবিতে মামলার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই অনুমতি মিলেছে। কিন্তু যদি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত তাহলে দুই তদন্তকারী সংস্থার একসঙ্গে তদন্ত করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি বিজেপি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে। আর বিজেপি দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেখানে সিপিএম আবার বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন।