রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হার ঠিক হজম হচ্ছে না অনেকেরই। লিগ টেবিলের লাস্ট বয়ের বিপক্ষে কামিন্সদের পরাজয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে। ট্রাভিস হেডের মতো হট ফর্মে থাকা ক্রিকেটার ব্যর্থ হলেন। মার্করাম, ক্লাসেনও ব্যর্থ। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪টি টপ অর্ডারের উইকেট হারাল নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। শেষ পর্যন্ত শাহবাজ এবং অধিনায়ক কামিন্স না লড়লে আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত দলকে। এবার ট্রাভিস হেডদের মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া ক্রিকেটার হার্শেল গিবস। কয়েক দিন আগেই হেডের করা এক মন্তব্যের পাল্টা তাঁর সমালোচনা করেছেন ডেকান চার্জার্সের হয়ে আইপিএল জেতা গিবস।
আরও পড়ুন-IPL 2024-ইডেন থেকে চিপক, হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে কতটা সহায়তা করছে পিচ?
এবারের আইপিএলে তিনটি ম্যাচে ২৫০-র বেশি রান করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম সাতটি ম্যাচের মধ্যেই তারা এই কাজ করেছিলেন। কিন্তু অষ্টম ম্যাচে গিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে পচা শামুকে পা কেটেছে হেডদের। পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা,ট্রাভিস হেডের পাশাপাশি আরও দুই বিদেশী এনরিখ ক্লাসেন এবং এইদেন মার্করামের উইকেট হারায় সানরাইজার্স। সেখানেই কার্যত ম্যাচে ললাট লিখন স্পষ্ট হয়ে গেছিল। এরপর শাহবাজ, কামিন্স এসে দলের স্কোর ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে গেলেও তাতে খুব বেশি সুবিধা হয়নি। এরপরই হার্শেল গিবসের প্রশ্ন, যে দলের ক্রিকেটার পরের টার্গেট ৩০০ রান করতে হবে ঠিক করে নেয়, তারা এমন স্লো উইকেটে ২০৭ রান চেজ করতে পারল না? ফ্ল্যাট উইকেটে ৩০০ রানের থেকে স্লো উইকেটে ২০৭ রান তোলার কৃতিত্ব বেশি বলে মনে করছেন গিবস।
আরও পড়ুন-ভারতকে দুরমুশ করা বিশ্বকাপ ফাইনালের ব্যাটে ছিল না স্প্রিং,রয়েছে বাড়িতেই- পন্টিং
কদিন আগেই আইপিএলে শতরান করেছিলেন ট্রাভিস হেড। এবারে ৭টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্বকাপজয়ী তারকার ব্যাট থেকে এসেছে ৩২৫ রান, স্ট্রাইক রেট ২১২। একাধিক ম্যাচে দলকে ভালো ওপেনিং পার্টনারশিপ দেওয়ার পর ট্রাভিস হেড মজা করে বলেছিলেন এরপরের টার্গেট ইনিংসের সামনে একটা ৩ বসানো অর্থাৎ ৩০০ রান। কারণ আইপিএলে এক ইনিংসে দলগত সর্বোচ্চ ২৮৭ রানের রেকর্ডে তিনি সামিল থাকলেও ৩০০ রানের গণ্ডি তার দল টপকাতে পারেনি। এবার অস্ট্রেলিয়ানকে পাল্টা দিয়ে হার্শেল গিবস নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ আমি জানি ট্রাভিস হেড ৩০০ চায়, কিন্তু স্লো উইকেটে ২০৭ রান চেজ করাও একইরকম কৃতিত্বের হত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কয়েকদিনর পর টি২০তে ৩০০ আর ওডিআইতে ৫০০ রানও উঠবে। কিন্তু ক্রিকেটে সৌন্দর্য থাকবে রান চেজ করায়’।
প্রসঙ্গত এবারের আইপিএলে হেড ছন্দে থাকলেও স্পিনারদের মোটেই তিনি খুব বেশি শাসন করতে পারেননি। মাত্র ১৫০-এর স্ট্রাইক রেটে ৬৩ রান করেছেন স্পিনারদের বিরুদ্ধে, সেখানে ২৩৬ স্ট্রাইক রেটে ২৬২ রান করেছেন পেসারদের বিরুদ্ধে। ফলে স্পিন রোগে যে তিনি কিছুটা হলেও আক্রান্ত তা বলাই যায়।