ফৌজদারি মামলায় নাম জড়ালো নদিয়ার চাকদহ থানার আইসি সহ আরও তিন পুলিশ আধিকারিকের। তাঁদের বিরুদ্ধে কল্যাণী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্বপ্না রায় নামে এক মহিলা। তার অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে একটি মিথ্যা মামলায় তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায় চাকদহ থানার পুলিশ। তারপর তাকে আদালতে পেশ না করে থানা লক-আপে তিন দিন আটকে রাখে। লক-আপে তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়। তিন দিন পর একটি মিথ্যে মামলায় আদালতে পেশ করা হয় তার স্বামীকে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আদালতে তার মামলা গৃহিত হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত। এরই মধ্যে সোমবার রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বপ্না রায়ের অভিযোগ পেয়ে ডিএসপি (শৃঙ্খলা)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস। সেই নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার ডিএসপি তারকশঙ্কর ভট্টাচার্য মামলাকারীর সঙ্গে কথা বলে তার বয়ান নথিভুক্ত করেছেন। মামলাকারীর বক্তব্য, শুধু তার স্বামীকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করায় নয়, তার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন চাকদহ থানার আধিকারিকেরা।
আদালতে যাওয়ার আগে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তার আইনজীবী মুকুল বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘সুপ্রিম কোর্টের জারি করা রুলও মানছে না পুলিশ। আইন সকলের জন্য সমান সেটা পুলিশের বোঝা উচিৎ। কাউকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো উচিৎ নয়। কিন্তু পুলিশ সেসবের তোয়াক্কা না করেই সাধারণ নাগরিকদের মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। কেন কোনও ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়াচ্ছে তা নিয়ে পুলিশের আত্মসমালোচনা করা দরকার।’
এদিকে, চাকদহ থানার আইসি বিমানকুমার মৃধা, সাব ইন্সপেক্টর কারেজ শেখ ও সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এবং এএসআই মনোজ সাহার নাম জড়ানোয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশ মহলে। পুলিশ সুপার সায়ক দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আদালতের কোনও নির্দেশ তিনি এখনও পাননি। নির্দেশ পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেবেন।’