ফের রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল বিক্রির অভিযোগ উঠল। বেশ কিছুদিন ধরেই নদিয়ার ভীমপুর, হাবিবপুর, রানাঘাট প্রভৃতি অঞ্চলে প্রকাশ্যে ভাঙাচোরা গোলায় এই প্রকল্পের সাইকেল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার ২০০-৩০০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে এই সাইকেল। সেখানে গেলেই চোখে পড়ছে সবুজ সাথী প্রকল্পের স্টিকার লাগানো সাইকেল। আর অভিভাবকরাও সাইকেল বিক্রি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির শান্তিপুর শহর-১ মন্ডল সভাপতি রাজু বৈরাগী জানান, ‘ভোটের স্বার্থে এই সরকার সকলকে খুশি রাখতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অঢেল সাইকেল দিয়েছে। কিন্তু, দেখা যাবে অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অথচ সর্বসাধারণের জন্য বহু প্রকল্প অর্থাভাবে বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। গুণগতমান দেখে তা চালানোর উপযোগী না হওয়ার কারণে বেচে দিচ্ছেন অনেকেই।’ সেক্ষেত্রে বেশকিছু অভিভাবক সহমত পোষণ করেছেন। তাদের বক্তব্য, নতুন সাইকেল কেনার পরেও তা চালানোর উপযোগী করে তুলতে বেশকিছু অর্থ খরচ করতে হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে সাইকেল তারা বিক্রি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর পুরসভার পুর প্রধান সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সবুজ সাথী সরকারের একটি মানবদরদী প্রকল্প। এর ফলে বহু পড়ুয়া উপকৃত হয়েছে। তবে কেউ যদি এ প্রকল্পে সাইকেল বিক্রি করে থাকে তাহলে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন আমারও আবেদন জানিয়েছেন পুর প্রধান। তিনি বলেন, ‘কারও যদি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল প্রয়োজন না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তাই বলে মেয়ে কম দামে বেচে দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী ধরনের পরিকল্পনায় উপকৃত হয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী। তার মধ্যে সামান্য একটা অংশের এ ধরনের অন্যায় কাজের জন্য ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সরকারের।’