বারাসতের আগে রাজ্যে দুটি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরে। এই দুটি সভায় মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। দেখা মেলেনি দিলীপ ঘোষের। তবে বুধবার বারাসতের সভায় দেখা গেল তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী প্রথম দুটি সভায় কেন তাঁকে দেখা গেল না? কেন আবার বারাসতের সভাতেই তিনি হাজির হলেন, এ সব প্রশ্নের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ নিজেই।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় হাজির থাকলেও এ দিন তিনি মঞ্চে ছিলেন না। দলের অন্যান্য নেতানেত্রীর সঙ্গে মঞ্চের নিচে বসতে দেখা গেল তাঁকে। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখানে আসার কথা নয়। কলকাতায় ছিলাম। তাই সকলের সঙ্গে দেখা করতে চলে এলাম।’ যদিও তিনি আমন্ত্রিত কি না তা স্পষ্ট করেননি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, অগ্নিমিত্রা পালের মঞ্চে দেখা গিয়েছে। তিনি মঞ্চে না গিয়ে নিচে বসেছেন।
আরও পড়ুন। ‘গোটা বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে’, মমতার সরকারকে উৎখাতের ডাক মোদীর
এর আগের দুটি সভায় তাঁকে দেখা যায়নি। তার কারণ হিসাবে সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে তিনি অনেক সভায় যেতেন না। এখন সাংসদীয় এলাকায় কাজের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা কমিটিতে নেই। তবে বারাসতের সভায় আসার কথা ছিল না। তবু তিনি এসেছেন। যেহেতু তিনি কলকাতায় রয়েছেন।
‘সন্দেশখালি ঝড় উঠবে বাংলায়’
বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভার মূল থিম নারী ‘নারী শক্তিবন্ধন সমাবেশ’। এই সমাবেশে সন্দেশখালির মহিলাদের থাকার কথা। সেই সমাবেশ থেকে তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মোদী। নারীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর তৃণমূলকে তোপ দেগে মোদী বলেন, 'গোটা বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে'। মোদী বলেন, 'এই দেশকে রাসমণি, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, মাতঙ্গিনী হাজরাদের দিয়েছে এই বাংলা। কিন্তু এখন তৃণমূল সরকার বাংলার মহিলাদের সম্মান দেয় না।'
আজ মোদী বলেন, ‘এই বাংলার মাটি নারী শক্তির প্রেরণা জুগিয়েছে। এখানে সারদা মা, রাণী রাসমনির জন্ম। আর এখানে মা-বোনেদের ওপরে অত্যাচার করে ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তাতে যে কারও মাথা লজ্জায় ঝুঁকে যাবে। তবে আপনাদের কষ্টে তৃণমূল সরকারের কিছু যায় আসে না। এই তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি প্রয়োগ করছে। তবে প্রথমে হাই কোর্ট, আর আজ সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে।’