শিয়ালগাগামী বনগাঁ লোকাল। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই বড় বিপত্তি। সূত্রের খবর, হাবড়া ১ নম্বর রেলগেটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল লোকাল ট্রেনটি। সেই সময় আচমকা চারপাশ থেকে লোকজন চিৎকার শুরু করে দেন। এর জেরে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়দের দাবি ট্রেনের নীচে থেকে আগুনের স্ফূলিঙ্গ দেখা যাচ্ছিল। সেই আগুনের ফুলকি দেখা দিতেই চারপাশ থেকে লোকজন চিৎকার শুরু করে দেন।
এরপর ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন চালক। ততক্ষণে প্রবল আতঙ্ক চেপে বসেছে যাত্রীদের মধ্য়ে। ট্রেন থামতেই বহু যাত্রী আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। কয়েকজন আবার লাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেন। আর তাঁরা ওই ট্রেনে চড়তে চাননি। কিন্তু কী কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হল?
সূত্রের খবর, কোনওভাবে ব্রেক লক হয়ে গিয়েছিল। তবে ঘটনার কথা জানতে পেরেই এলাকায় যান রেলকর্মীরা। কীভাবে এই পরিস্থিতি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্য়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে গিয়েছিল তাতে বড় বিপত্তি হতে পারত। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। ব্রেক লক হয়ে গেলে তা বোঝা না গেলে পরিস্থিতি কতটা বিগড়ে যেত তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে যাত্রীদের মধ্য়ে।
তবে এভাবে রেলকর্মীরা দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরেও রেলযাত্রীদের মধ্য়ে থেকে আতঙ্ক যাচ্ছে না। কারণ হাজার হাজার যাত্রী লোকাল ট্রেন করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই লোকাল ট্রেনে যদি বড় কোনও বিপত্তি হয় সমস্যায় পড়তে পারেন অনেকেই। তাছাড়া লোকাল ট্রেন হল পরিবহণের লাইফলাইন। একটি ট্রেন মাঝপথে বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে গেলে পরপর ট্রেনগুলি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে। তবে এদিন অন্যান্য় ট্রেন চলাচলে সেভাবে সমস্যা হয়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ট্রেনটি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। এরপর সেটা ছাড়ে।