বছর ঘুরলেই শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। তার মধ্যেই আজ, রাতে বিধ্বংসী আগুন লেগে গেল সেখানে। গঙ্গাসাগরের চার নম্বর স্নান ঘাটের কাছে লাগল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আজ, মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে। পরে আরও আনতে হয় বলে সূত্রের খবর। গঙ্গাসাগরের ৪ নম্বর স্নানঘাটের কাছে সরকারি লজ রয়েছে। তার পাশে বেশ কিছু কাঁচাবাড়ি এবং দোকানে বিধ্বংসী আগুন লাগে। অবশেষে ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে।
এদিকে আজ আগুন লাগে সাগরমেলার ৪ নম্বর স্নানঘাটের কাছে। সরকারি লজের পাশে কিছু কাঁচাবাড়ি এবং দোকানে আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে একের পর এক বাড়ি। সাগর ও গঙ্গাসাগর উপকূল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। আগুনের এই ঘটনায় কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এই আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। পুড়ে যাওয়া বাড়ি, দোকানের মধ্যে থেকে বহু সামগ্রী বের করে আনা হয়। দাহ্য বস্তু ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে দমকলের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। ৪–৫টি বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাড়িগুলির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আওয়াজও হয়। তাতে আরও বেড়ে যায় আগুনের দাপট। কিছু গবাদি পশু জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায়। কপাল জোরে অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িগুলিতে কোনও মানুষ ছিলেন না। তাই বাসিন্দাদের কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। দমকলের ২টি ইঞ্জিন খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। আসে গঙ্গাসাগর থানা এবং গঙ্গাসাগর উপকূল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের বাংলাই সব দেশকে নেতৃত্ব দেবে’, শিলিগুড়ির সভা থেকে বড় দাবি মমতার
এছাড়া আগামী ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। তার আগে সাগরমেলার মাঠে জোরদার প্রস্তুতি চলছে। সেখানে আজকের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর কিছুটা হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি এবং দোকান মালিকরা ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে পুলিশ–দমকল তদন্ত শুরু করেছে।