উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রের পর এবার আরও এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। দুর্নীতি, বেনিয়ম সহ একাধিক অভিযোগে প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।
গত মে মাসে হঠাৎ করে উপাচার্যকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা অভিযোগ উঠছিল। গত ১৪ মার্চ উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক এবং পড়ুয়ারা।
এই আন্দোলন বিশেষ মাত্রা পায় স্বয়ং রেজিস্ট্রার যুক্ত হয়ে যাওয়ায়। তাই উপাচার্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত একা হয়ে যান। তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য। তাতে আরও হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার তাঁর পদ ফিরে পান। ফলে ব্যাকফুটে যেতে হয় উপাচার্যকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা, তার কোনও হিসাব না দেওয়া, বহু শিক্ষক–শিক্ষিকা অনিয়মিত হলেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া–সহ মোট ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক এবং পড়ুয়ারা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য উপাচার্য সহ আন্দোলনকারীদের ডাকা হয় কথা বলার জন্য। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে কথা বলার জন্য সব পক্ষকে ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু আন্দোলনকারী এলেও উপাচার্য আসেননি। এর পরই রাজ্যপাল ই-মেল করে উপাচার্যকে সরিয়ে দেন। সেই ই-মেল রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছয়। রেজিস্ট্রার জানান উপাচার্যকে। এবার তাঁর প্রাক্তন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
এদিনই তিনি তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। খরচ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালনার ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ, সবেরই তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তদন্ত করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য।