বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের রোড শো ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমানের আলমগঞ্জ ব্রিজ থেকে বিবেকানন্দ কলেজ মোড় পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের রোড শোয়ের আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। তার আগে প্রস্তুতি পর্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় দুজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের সামনেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুরে।
আরও পড়ুন: হিন্দি গান গাইলেন দিলীপ ঘোষ, পড়ল তুমুল হাততালি! কাঠফাটা রোদে ফুরফুরে মেজাজ
বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি প্রদীপ মণ্ডল অভিযোগ করেন, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে রোড শোয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সেই কারণে বিজেপি কর্মী অনিল তেওয়ারি সহ আরও কয়েকজন কর্মী পতাকা বাঁধার কাজ করছিলেন। ঠিক সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। অনিল তেওয়ারির অভিযোগ, পতাকা বাঁধার সময় তাদের ওপর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মীরা এসে হামলা চালায়। তাদের দুজনকে মারধর করে।
এমন ঘটনার পরেই রোড শোয়ে এসে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের মতো দলকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত। বাংলা হিংসা ও খুনোখুনি বন্ধ করতে গেলেই এটাই একমাত্র উপায়।’ সাধারণ মানুষকে তাঁর বার্তা, ‘তৃণমূলকে ভোট দেওয়া উচিত নয়। হিংসা, দূর্নীতি আর অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করা প্রয়োজন।’
অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীদের মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানেন না। তবে তৃণমূলের কর্মসূচি আছে আজ।
তাঁর পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে দলের কর্মীরা এলাকায় এলাকায় পতাকা লাগানোর কাজ করছিল। তখন বিজেপির কিছু কর্মী সেখানে জড়ো হয়ে তাদের পতাকা লাগানোর কাজে বাধা দেয়। তাই সেখানে একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কারণ তৃণমূলের কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে বিজেপির কোনও কর্মসূচি ছিল কি না সে বিষয়টি তিনি জানেন না বলেই দাবি করেন।