আজ, শুক্রবার জিটিএ প্রধান অনীত থাপার সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে আসেন অনীত। সেখানে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করেন জিটিএ প্রধান। সে সময় মুখ্যসচিবের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করেন জিটিএ প্রধান। তখন অনীতকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কালিম্পং–সহ পাহাড়ের সেটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ প্রধানকে আশ্বস্ত করেছেন।
কিন্তু জিটিএ প্রধান মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্রের খবর। তিস্তার ভয়ালরূপ আর পাহাড়ের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সহজে ভোলার নয়। আর এই মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং প্রকৃতির ভয়াবহতায় ৩৮ জন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন এবং ৭৮ জন এখনও নিখোঁজ। পাহাড়ের এই পরিস্থিতি দিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা খতিয়ে দেখতে পাহাড়ে বিশেষ দল পাঠানো হতে পারে বলে অনীতকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী বলেছেন অনীত মুখ্যমন্ত্রীকে? টেলিফোনে কথা চলার সময় আজ অনিত থাপা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, ‘সিকিমকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও কালিম্পংকে কেন নয়? আমরা তো ভারতের মধ্যেই থাকি। আমাদের এখান থেকেও বিজেপির সংসদ রয়েছে। তাহলে আমাদের কেন টাকা দেবে না কেন্দ্র?’ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর। জাতীয় সড়ক সেভক দিয়ে সিকিমে যাওয়া ছাড়া গ্যাংটক পৌঁছনোর আরও দু’টি বিকল্প পথ আছে। একটা বাগরাকোট, চুনাভাটি, লোলেগাঁও, লাভা, পেদং হয়ে রংপো রুট ধরে সিকিম। তবে ওই রাস্তাটি এখন বেহাল। দুই, আলগাড়া, পেদং, লাভা, গরুবাথান, ডামডিম হয়ে শিলিগুড়ি। এই রাস্তা দিয়েই পর্যটকদের পাহাড় থেকে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিক খুন, পিটিয়ে মারার অভিযোগে উত্তাল মহেশতলা
আর কী জানা যাচ্ছে? এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিম্পং জেলায়। বিডিওরা জেলার সব প্রান্ত পরিদর্শন করেছেন। এখানেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে জীবন–জীবিকার। আবার তিস্তায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিকিম পাহাড়ে নতুন করে দুর্যোগ দেখা দিলে ভাসতে পারে সমতল। তাই সতর্কবার্তা পেয়ে জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, খুলে দেওয়া হয়েছে ফ্লাড শেল্টার। বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এসব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনীত।