ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারচক্রের হদিশ। গোয়েন্দারা এই কিডনি পাচার চক্রের হদিশ পেয়েছেন বলে খবর। এদিকে বেশ কয়েক বছর আগেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেই সময় দাবি করা হচ্ছিল কাজ দেওয়ার নাম করে বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে নিয়ে গিয়ে কিডনি কেটে নেওয়া হত। তবে এবার অভিযোগটা একটু অন্যরকম।
এবার দাবি করা হচ্ছে ওপার বাংলা থেকে লোকজনকে এপারে নিয়ে এসে কিডনি কেটে নেওয়া হচ্ছে। তাদের কিডনি ৪-৫ লাখ টাকায় বিনিময়ে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর সেই কিডনি বিক্রি করা হচ্ছে ১৪-১৫ লাখ টাকায়।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন অংশে এই কিডনি পাচারচক্র সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বনগাঁ, বারাসতেও সক্রিয় হয়েছে এই চক্র। এমনকী কলকাতাতেও এই চক্রের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই দিল্লি, জয়পুর, গুরগাঁও, ফরিদাবাদ থেকে শুরু করে ওপার বাংলার ঢাকা বরিশাল, রাজশাহি, নারায়ণগঞ্জেও এই চক্র ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে ইতিমধ্য়েই কয়েকজনকে গোয়েন্দারা চিহ্নিত করেছেন। সব মিলিয়ে ৪৫জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের শরীর থেকে কিডনি কেটে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশ থেকে এপারে এসে তাদের শরীর থেকে কিডনি কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী কয়েকজনের শরীর থেকে কিডনি কেটে নেওয়ার পরে তারা বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এমনকী কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে রাজস্থান ও দিল্লিতে ধরা হয়েছে বলেও খবর।
কিন্তু কীভাবে কাজ করছে এই কিডনি পাচার চক্র?
সূত্রের খবর, এই চক্রে সঙ্গে একাধিক আড়কাঠিরা জড়িত রয়েছে। মূলত এই দালালদের মাধ্যমেই সক্রিয় কিডনি পাচার চক্রের লোকজন। এর সঙ্গে চিকিৎসক, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করছেন এমন স্বাস্থ্যকর্মীরাও জড়িত রয়েছে। তবে তাদের হদিশ পাওয়াটা কষ্ট। এমনকী ওপার বাংলার কিছু দালালও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলত মেডিক্যাল ট্যুরিজম সংস্থার নাম করে এই কিডনি পাচারের দালালরা টোপ ফেলছে। এরপর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় নিয়ে এসে বিরাট অপারেশন করা হচ্ছে। এরপর টাকা ধরিয়ে দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ওপারে। এমনকী হরিয়ানা পুলিশের হাতে এক বাংলাদেশি যুবকও ধরা প়ড়েছিল। তাকে জেরা করে চক্রের একাধিক জনের সন্ধান মিলেছে। বাংলার কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।