হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে তারা অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন। অবশেষে তাদের দাবি মেনে দৈনিক মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া পুরসভা। বর্তমানে হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মীদের দৈনিক মজুরি ১৭৪ টাকা। তা বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। একই সঙ্গে সাফাইকর্মীদের আরও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাওড়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সাফাই কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা
বৃহস্পতিবার হাওড়া পুরসভার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে পুরপ্রশাসনের সঙ্গে সাফাইকর্মীদের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫ হাজার সাফাই কর্মী। এছাড়াও ছিলেন হাওড়া পুরসভার অন্যান্য আধিকারিকরা। তারা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি-দাওয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, যে সমস্ত সাফাই কর্মীরা ১৭৪ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করছেন তাদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হবে। সেইসঙ্গে ওই কর্মীদের ইএসআইয়ের তালিকায় করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি আরও জানান, মহিলা সাফাইকর্মীদের জন্য আরও ভালো শৌচাগার তৈরি করা হবে। যে সমস্ত সেক্টর অফিসগুলি রয়েছে সেগুলি মেরামত করে শৌচাগার করা হবে বলে তিনি জানান। পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর দাবি, দু'বছর আগে সাফাইকর্মীদের দৈনিক মজুরি ছিল ১০০ টাকা। তা বাড়িয়ে দু বছরের মধ্যে করা হয়েছে ১৭৪ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হবে। এছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলিও নিয়েও সাফাই কর্মীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে খুশি সাফাইকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে এর আগেও বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছেন হাওড়া পুরসভার সাফাই কর্মীরা। পুজোর আগেই তারা সেখানে কর্মবিরতি করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তারা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি, বোনাসের দাবি তুলেছিলেন। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও তাদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১৬৪ টাকা ছিল। তবে পুজোর আগে তা আরও ১০ টাকা বাড়ানো হয়। তাদের আরও অভিযোগ ছিল, চাকরির নিরাপত্তা এবং চিকিৎসার কোনও সুযোগ নেই। এই নিয়ে ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে তারা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। বেশ কয়েকবার হাওড়া পুরসভার গেটেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মীরা। এর আগে এনিয়ে তারা হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় বিশ্বাসের কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতদিন দাবি পূরণ হওয়ায় তারা খুশি।