পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তা সত্ত্বেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়ছে পরীক্ষার্থীরা। এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের চলতি পরীক্ষায় মোবাইলসহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছে। আর এবার একই পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল সহ ভিতরে প্রবেশ করার জন্য ধরা পড়ল ৭ জন পরীক্ষার্থী। তারপরেই ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র চাই? টাকা দিলেই পৌঁছে যাবে হাতে, হাতছানি নেটপাড়ায়
শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের দর্শন পরীক্ষায় ওই ৭ জনকে মোবাইলসহ ধরে ফেলেন পরীক্ষকরা। এই বছরের জন্য তাদের সব বিষয় পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।মোবাইল সহ যারা ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের একই স্কুলের দু'জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। বাকি ৫ জন শিলিগুড়ি, মালদহ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর এখনও পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করার ফলে প্রথম দিন ৫ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। দ্বিতীয় দিন অবশ্য মোবাইল সহ কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়েনি। তবে তৃতীয় দিন ৩ জন মোবাইল সহ ধরা পড়েছে। তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। চতুর্থ দিনেও মোবাইল সহ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করার ঘটনা ঘটেনি। পঞ্চম দিন ৬ জন এবং ষষ্ঠ দিন আরও ৩ জন মোবাইল প্রবেশ করায় তাদের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ২৪ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। সেই অভিযোগে ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ। তার মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিন পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক ছাত্রীকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, ওই ছাত্রীর প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফাঁস হয়েছিল। তারপর তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। এছাড়াও মোবাইল নিয়ে প্রবেশের অভিযোগেও একাধিক পড়ুয়ারা পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল মাধ্যমিকে। তারপর থেকেই আঁচ করা হচ্ছিল যে উচ্চমাধ্যমিকে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সেইমতোই উচ্চমাধ্যমিকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।