শিলিগুড়িতে নরেন্দ্র মোদীর সভাকে নিয়ে যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে তখনই বিজেপি শিবিরের জন্য এল স্বস্তির খবর। দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার মোদীর সভায় মনোজ টিগ্গার সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির থাকতে রাজি হয়েছেন আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ জন বারলা। ওদিকে শনিবারের সভায় হাজির থাকার কথা রয়েছে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তেমনটা হলে প্রধানমন্ত্রীর সভা দিয়েই শুরু হবে তাঁর রাজনীতির পথ চলা।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের গভীরতা কতটা? পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠল আদালতে
লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গে দিকে দিকে বিদ্রোহের রব। প্রার্থী বাছাইয়ের আগে তাঁর সঙ্গে কথা না বলায় দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। এতটাই ক্ষুব্ধ যে রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিতে চান তিনি। ওদিকে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী সাংসদ জন বারলা। ওই আসনে বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আর মনোজকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেছেন জন বারলা। এই নিয়ে আলিপুরদুয়ারে শুরু হয়েছে তুমুল কোন্দল।
আরও পড়ুন: ‘সব মিথ্যে, আল্লাহ আছেন, বিচার হবেই’, প্রথমবার মুখ খুললেন ‘নেংটি ইঁদুর’ শাহজাহান
এই পরিস্থিতিতে বারলা ও অনন্ত মহারাজকে বোঝাতে ময়দানে নেমেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। সূত্রের খবর, তাতে কিছুটা সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। দলের বক্তব্য শুনে আপাতত বিদ্রোহে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জন বারলা। এমনকী শনিবার মোদীর সভায় মনোজ টিগ্গার সঙ্গে এক মঞ্চে থাকতেও রাজি হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তা হলে বিজেপির মাথা ব্যথা কিছুটা কমবে।
শনিবারের সভায় থাকার কথা সদস্য বিজেপিতে যোগদানকারী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। তবে তিনি কোনও বক্তব্য রাখবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি।