সামনেই ২০২৪ আসছে। দিল্লি দখলের লড়াই। একদিকে মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ। আর অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট। সেই ইন্ডিয়া জোটে কে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। জোটের দলগুলির মধ্য়ে দ্বন্দ্ব একেবারে চরমে। তবে তৃণমূলের অনেকেই চান দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরা হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যে স্বপ্ন তৃণমূলের তাবড় নেতাকর্মীরা দেখছেন সেটাই বর্ধমানে কালীপুজোর থিমে তুলে ধরা হল । সেখানে দেখা যাচ্ছে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাধারণত রীতি অনুসারে দেশের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তোলেন। তবে কি সেই স্বপ্নকে উসকে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ?
বর্ধমানের মেহেদিবাগান বারোয়ারি সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটির মণ্ডপ। দিল্লির লালকেল্লার আদলে গড়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ। পুজোর বাজেট প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। আর সেই মণ্ডপেই দেখা যাচ্ছে লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন মমতা। এই থিম কার্যত নজর কেড়েছে অনেকেরই।
তৃণমূলের একের পর এক নেতা ধরা পড়ছেন দুর্নীতির অভিযোগে। শিক্ষা থেকে খাদ্য সর্বত্র দুর্নীতির গন্ধ। অন্তত দুজন মন্ত্রী জেল খাটছেন। তার মধ্যেই সামনে এল লালকেল্লায় মমতার জাতীয় পতাকা তোলার এই ছবি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মমতা একা জাতীয় পতাকা তুলছেন এমনটা নয়। পাশে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের ছবিও রাখা হয়েছে মণ্ডপে। তবে কালীপুজোর থিমে এভাবে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখার স্বপ্নকে তুলে ধরার ঘটনা দেখে মুচকি হেসেছেন অনেকেই।
তবে পুজো উদ্যোক্তারা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, একের পর এক আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। জনবিরোধী নীতির জেরে সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে তারা। সেকারণে বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন। দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করবেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালকেল্লার থিমের মাধ্যমে সেই কথাই তুলে ধরা হয়েছে। আমরা চাই দিদি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসুন।
তবে কালীপুজোর থিমে এভাবে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলছেন মমতা ও পাশে অভিষেক এই দৃশ্য দেখে হোঁচট খেয়েছেন অনেকেই। তবে তার সঙ্গেই চর্চাও চলছে পুরোদমে। তবে সামনেই তো লোকসভা নির্বাচন।সেক্ষেত্র এই থিম স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে। যেখানে পতাকা তোলা হচ্ছে তার পেছনে লেখা ১৫ অগস্ট ২০২৪।