রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আমদাবাদে তাণ্ডব চালালেন উইল জ্যাকস। সেঞ্চুরি করে তিনি অপরাজিত তো থাকলেনই, তবে চমকপ্রদ বিষয় হল, ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছতে নিলেন মাত্র ৬ মিনিট। রবিবার ৩১ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন জ্যাকস। পরের ৫০ রান করেন মাত্র ১০ বলে। মোট ১০টি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মারেন জ্যাকস। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৯ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়।
ম্যাচের পর আইপিএলে তাঁর সতীর্থ এবং তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির সঙ্গে ব্যাটিং করা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন উইল জ্যাকস। তাঁর দাবি, ইনিংসের শুরুতে যখন তিনি সংগ্রাম করছিলেন, তখন কীভাবে তাঁকে স্পিন মোকাবিলা করতে হবে, সেটা বুঝিয়ে দেন কোহলি। আক এতে অনেক সাহায্য পান উইল জ্যাকস।
আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীনই রোহিতের হাত থেকে ঘুড়ি নিয়ে অন্য খেলায় মাতলেন পন্ত, ভাইরাল হল সেই ভিডিয়ো
গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কয়েক ওভারের মধ্যেই সেটা ছেলেখেলায় পরিণত করেছিল। কারণ বিরাট কোহলি এবং উইল জ্যাকস মিলে গুজরাটের স্পিন ত্রয়ী রশিদ খান, নুর আহমেদ, সাই কিশোরকে নিয়ে রীতিমতো হেলাফেলা করেছেন। দলের তারকা পেসার মোহিত শর্মাকে পিটিয়ে ছাতু করেছেন। সন্দীপ ওয়ারিয়র, আজমাতুল্লাহ ওমরজাইরাও রেহাই পাননি।
কোহলি-জ্যাকস জুটি দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৭৩ বলে ১৬৬ রানের জুটি গড়ে।বিরাট কোহলি ৪৪ বলে অপরাজিত ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ছ'টি চার এবং তিনটি ছক্কা। আর উইল জ্যাকস ৩১ হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর, ৪১ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলেন।
আরও পড়ুন: KKR-এর বিরুদ্ধে রেকর্ড জয়ের পর দিনই দুঃসংবাদ PBKS শিবিরে,দল ছাড়লেন তারকা বিদেশি
আইপিএলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে উইল জ্যাকস তাঁর আরসিবি সতীর্থ ক্যামেরন গ্রিনকে বলেছেন, ‘এটি একটি অসাধারণ জয়। সত্যি কথা বলতে, আমি প্রথম দিকে খেলতে গিয়ে কিছুটা সংগ্রাম করেছি। তবে বিরাট আমাকে প্রথম ১৫ বলে সাহায্য করেছিল। আমি যখন রান করতে লড়াই করছিলাম, তখন ও হাল ধরেছিল। শুরুতে কিছুটা নার্ভাস বোধ করছিলাম, কিন্তু ও যেভাবে খেলছিল, সেটা দেখে আত্মবিশ্বাস পাই।এবং তার পরেই নিজেকে মেলা ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের হাতে উইকেট ছিল। তাই সেই ভাবে খেলার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: ইডেনে এল জিত, কিন্তু হেরে গেলে কেমন মুড থাকে মালকিন প্রীতি জিন্টার, জানালেন পঞ্জাব প্রাক্তনী
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘সেই শেষ দুই ওভারে, এটি শুধুই হাত খুলে মারার বিষয় ছিল। বিরাটের মত ছিল, শুধু চালিয়ে যাও, থামবে না। আমি বুঝতেও পারিনি যে, সেঞ্চুরি করতে চলেছি। পাগলের মতো ইনিংস।’
জ্যাকস দাবি করেন, রশিদ খানকে কীভাবে তিনি খেলবেন, সেটা বুঝিয়ে দেন কোহলিই। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বলেছেন যে, বিরাটের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা চমৎকার অভিজ্ঞতা। এর থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। জ্যাকস খোলসা করেছেন, ‘আমি মনে করি ওর অনেক বেশি অভিজ্ঞতা আছে, ও আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। ব্যাট করাটা আশ্চর্যজনক। আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি, এবং আমি ওর সঙ্গে এমন একটি পার্টনারশিপ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’