বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Leopard Attack: বৃদ্ধার মুন্ডু ছিঁড়ে নিয়ে গিয়ে নদীর পাড়ে বসে চিবিয়ে খেল চিতাবাঘ

Leopard Attack: বৃদ্ধার মুন্ডু ছিঁড়ে নিয়ে গিয়ে নদীর পাড়ে বসে চিবিয়ে খেল চিতাবাঘ

প্রতীকী ছবি

বাসন মাজতে সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে চিতাবাঘের হামলার মুখে বৃদ্ধা। 
  • কেউ কিছু বোঝার আগেই মন্ডু ছিঁড়ে নিয়ে পালাল চিতাবাঘ। 
  • আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার জটেশ্বরের আতঙ্ক। 
  • চিতাবাঘের হামলায় ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা হয়ে গেল এই বৃদ্ধার। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার জটেশ্বর এলাকার ঘটনা। রবিবার রাতে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহতের নাম সরোজিনী রায় (৬৫)। চিতাবাঘের হামলায় ধড় - মুন্ডু আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বনকর্তারা।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর জটেশ্বরের ব্যাঙকান্দি গ্রামে নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন বৃদ্ধে সরোজিনী দেবী। রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘরে ঢুকে যেতেন। রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ খাওয়া দাওয়া করে বাড়ির বাইরে টিউবওয়েলে বাসন মাজছিলেন তিনি। তখন তাঁর আর্তনাদ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। ছুটে এসে বৃদ্ধার দেখা তাঁরা পাননি। দেখেন পড়ে রয়েছে বাসন। কলতলার চারিদিকের নরম মাটিতে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ। আর পাশে ঝোপের দিকে কিছু টেনে নিয়ে যাওয়ার দাগ। চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখে বনদফতরকে খবর দেন স্থানীয়রা। বনদফতরের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে তল্লাশি চালিয়ে রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে সরোজিনীদেবীর মুণ্ডহীন দেহ দেখতে পান। সোমবার সকালে তাতাসি নদীর ধার থেকে বৃদ্ধার খুবলে খাওয়া করোটি উদ্ধার হয়। তখনও নদীর পাড়ে ঝোপে বসেছিল চিতাবাঘটি। এতেই বনকর্মীরা নিশ্চিত হন যে বৃদ্ধারকে কেউ খুন করেনি। বরং দেহ থেকে মুন্ডু ছিঁড়ে এনেছে চিতাবাঘটি।

    এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাতে তো বটেই দিনেও ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি মেনে চিতাবাঘ ধরতে ইতিমধ্যে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পেতেছে বনদফতর।

    চিতাবাঘের আক্রমণে মানুষের ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন বনকর্তারা। সদ্য প্রাক্তন প্রধান মুখ্যবনপাল সৌমিত্র দাসগুপ্ত বলেন, ‘ছবি দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। মানুষের ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেওয়া চিতাবাঘের স্বভাব নয়। ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারে তদন্ত করা দরকার।’

     

    বন্ধ করুন