মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারা অব্যাহত। আজ, সোমবার পরীক্ষার তৃতীয় দিনেও অব্যাহত থাকল প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। আজ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করা হয়। তারপর তা ভাইরাল হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে তিন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্নপত্রে এবার ব্যবহার করা কোডগুলি আবছা করে প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আজ ওই পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে ফেলল। প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা এবং তারপর ইতিহাস পরীক্ষা। পর পর টানা তিনটি বিষয়ের পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল।
এদিকে এবারও সেই ঘটনাস্থল মালদা জেলা। ইতিহাস পরীক্ষার দিনও মালদার তিনজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে জানা গিয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগ উঠেছিল ওই তিন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আজও আবার কড়া পদক্ষেপ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই তিন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। গত তিনদিনের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কেমন করে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করল ওই তিন পরীক্ষার্থী? এবার সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে দু’দিন আগেও প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরিয়ে যায়। তখন এই মালদা জেলার নামই উঠে আসে। বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। তার জেরে মালদার দুই স্কুলের দুই পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর ইংরেজি পরীক্ষার দিনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ইংরেজির প্রশ্নপত্র। তাতেও ১১ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নাম উঠে এসেছিল মালদা জেলার। আর মাধ্যমিকের তৃতীয়াতে ইতিহাস পরীক্ষার দিন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগে তিন জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়।
আরও পড়ুন: দিঘায় তরুণী পর্যটককে গণধর্ষণ করার অভিযোগ, গ্রেফতার দুই, বাকিরা পলাতক
এছাড়া ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নপত্রের উপরেই কোডের ব্যবহার করা হয়েছে। যে কোডের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা যাবে। প্রশ্নপত্রের প্রত্যেকটি পাতায় এই কোডের ব্যবহার করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আজ মাধ্যমিকের তৃতীয় পরীক্ষায় যথেষ্ট নজরদারির ব্যবস্থা করেছিল। মালদার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তা দেখা যায়। পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী ছিলেন প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশকর্মীও। পরীক্ষার্থীরা স্কুলে পরীক্ষা দিতে ঢোকার আগে প্রত্যেককে চেকিং করে ঢোকার ছবিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কিন্তু তার মধ্যেও তিনজন পরীক্ষার্থী ধরা পড়ল মোবাইল নিয়ে।