বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Nandigram rail project: চাকরির তালিকা থেকে নাম বাদ অনেকের, ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের জমিদাতারা

Nandigram rail project: চাকরির তালিকা থেকে নাম বাদ অনেকের, ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের জমিদাতারা

ফাইল ছবি

এই প্রকল্পের সময় তাঁদের গ্রুপ ডি পদে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য হিসেবে ২৫১ জন জমিরাতের নাম ঠিক করা হয়। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা পরীক্ষার জন্য হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে সেই পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। 

প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে থমকে রয়েছে নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য অনেকে জমিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জমিদারদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেছেন জমিদারদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, চাকরির জন্য ২৫১জন জমিদাতার নাম ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু, তার মধ্যে অনেকের নামই বাদ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে জমিদাতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কাউকে যাতে বঞ্চিত না করা হয় তার জন্য রেলের আধিকারিক ছাড়াও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জমি দাতাদের একাংশ।

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ শুরুর নির্দেশ, কৃতিত্ব কার?‌ রাজনৈতিক তরজা শুরু

জমিদাতাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পের সময় তাঁদের গ্রুপ ডি পদে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য হিসেবে ২৫১ জন জমিরাতের নাম ঠিক করা হয়। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা পরীক্ষার জন্য হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে সেই পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এ বছর ৬ সেপ্টেম্বর কিছু জনকে চাকরির পরীক্ষার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। তাতেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জমিদাতা একাংশের অভিযোগ, নতুন এই চিঠিতে বেশ কয়জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তাঁরা রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনাটিকে নাটক বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের কারণে চাকরির জন্য কাউকে কাউকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়া উচিত ছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশপ্রাণ স্টেশন থেকে নন্দীগ্রামের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। তার মধ্যে এই প্রকল্পে নন্দীগ্রামে ১৮.৫ কিলোমিটার রেল লাইন হওয়ার কথা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় কেন্দ্রে ছিল ইউপিএ সরকার। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ইউপিএ থেকে বেরিয়ে আসেন। তখনই এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে মমতার প্রস্তাবের পরে নন্দীগ্রামে রেল প্রকল্পের জন্য জমি চিহ্নিত থেকে অধিগ্রহণ এবং স্টেশনের কাজ কিছুটা এগিয়েছিল। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নন্দীগ্রামের মানুষ সেখানে রেল স্টেশন তৈরির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী সেখানে রেলপথ তৈরির জন্য রেলকে চিঠি পাঠান। তারপরে গত অগস্টে রেলের আধিকারিকরা নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির জায়গা পরিদর্শন করেন। 

 

 

বন্ধ করুন