পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে যখন জেলায় জেলায় বিরোধী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তখন মন্ত্রীর খাসতালুকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও বোর্ড গড়তে পারল না তৃণমূল। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের রুইপুকুর পঞ্চায়েতে। সেখানকার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বিজেপি - বাম ও তৃণমূলের একাংশ মিলে বোর্ড গড়েছে সেখানে। যার পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।
মঙ্গলবার সকালে রুইপুকুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর আগেই গুঞ্জন ছড়ায় সেখানে বোর্ড গড়বে বিজেপি। বেলা গড়লে দেখা যায়, হলও তাই। বোর্ড গঠনের পর তিন দলের পতাকা হাতে মিছিল করেন বোর্ডের সদস্যরা।
রুইপুকুর পঞ্চায়েতের ২৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৩টি পেয়েছে তৃণমূল। ৭টি বিজেপি, ২টি বাম ও ১টি অঞ্চল গিয়েছে নির্দলের দখলে। এর মধ্যে ১ তৃণমূল সদস্যের হৃদরোগে মৃত্যু হয়। ফলে ম্যাজিক সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। মঙ্গলবার বোর্ড গঠনের সময় বিজেপিকে সমর্থন করে ২ বাম, ১ নির্দল ও ২ তৃণমূল সদস্য। ফলে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। এর পর পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে তিন দলের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করে তারা।
ঘটনায় হতবাক তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপি ঘোড়া কেনা বেচার জন্য বিশ্ববিখ্যাত। কী ভাবে আমাদের জয়ী প্রার্থীদের প্রভাবিত করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এসব পঞ্চায়েতে হয়। এই নিয়ে এত আলোচনার কিছু নেই। স্থানীয় ব্যাপার, এতে দলের কিছু বলার নেই।