পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় বিজেপিরই ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গত শনিবার পুরুলিয়ার মানবাজারের গোপালনগরে এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাই ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নিহত বিজেপি কর্মী নাম মানস মাহাতো।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই তার পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়। সেই ঘটনায় তদন্ত নেমে তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত বিজেপি কর্মী পুঞ্চা থানার পাড়ুই গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার সেলভা মুরুগন জানিয়েছেন, নেশার আসর বসেছিল। সেই নেশার আসরে তাদের নিজেদের মধ্যে বচসা হয়। পরে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় সৌমিত্র নামে একজন মানসের মাথায় আঘাত করে। ঘটনায় মৃত্যু হয় মানসের। এরপর তাকে ব্রিজের উপর থেকে ফেলে দেয় অভিযুক্ত তিনজন। প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুরুলিয়ার বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা বলেন, ‘কে দোষী সেটা কোর্টের রায়ে প্রমাণ হবে। এভাবে বিজেপির লোককে ধরে গোষ্ঠীকোন্দল দেখাতে চাইছে তৃণমূল।’ অন্যদিকে, তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া এটিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘এতে বোঝা যাচ্ছে বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। ওরা পরিবেশ খারাপ করতে চাইছে।’