খড়গপুরের তৃণমূল কর্মী ভেঙ্কট রাওয়ের খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় তৃণমূলেরই এক কর্মীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোট তিনজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম হল শুভম সোনার, ঈশ্বর রাও এবং জে কৃষ্ণা রাও। এর মধ্যে শুভম সোনার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। পুরভোটের আগেই তিনি তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন। তার গ্রেফতারের পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
গত সোমবার স্কুটারে করে এসে তিন দুষ্কৃতী ভেঙ্কটকে লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর সাতটি গুলি করে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ভেঙ্কটের দেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আততায়ীদের শনাক্ত করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১১ টি ৭ এমএম গুলির খোল, কার্তুজ এবং ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ। জমি জায়গা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই তাকে খুন করা হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। এরপরে পুলিশ তদন্তে নেমে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, শুভম সোনাকে খড়গপুর গ্রামীনের তৃণমূল বিধায়ক দিনেন রায়, খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজারা তৃণমূল পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখপাত্র অরূপ দাস এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হয়ে খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। প্রদীপ সরকারের ইশারাতেই খুন করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। যদি ও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল সুজয় হাজরা।