আর এগোলে পাথর পড়বে, এই বলে বামেদের শান্তিমিছিল আটকাল পুলিশ, সালকিয়ায় ধুন্ধুমার

মিছিল সালকিয়া চৌরাস্তায় পৌঁছলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেরিয়ে বাম কর্মী সমর্থকরা এগনোর চেষ্টা করলে তাদের ওপর লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এরই মধ্যে মাটিতে পড়ে যান মহম্মদ সেলিম। তার মধ্যেই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

সোমবার সালকিয়ায় বামেদের শান্তিমিছিলে পুলিশের হামলা। 

হাওড়ার সালকিয়ায় বামেদের শান্তি মিছিলে নির্মম হামলা চালাল পুলিশ। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে লাঠি চালাল পুলিশ। প্রতিবাদে ঘটনাস্থলেই অবস্থানে বসলেন বিমান বসুসহ বাম কর্মী-সমর্থকরা। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জিটি রোড।

সোমবার বালিখাল থেকে গোলাবাড়ি পর্যন্ত মিছিলে যোগ দেন প্রায় ৮ হাজার বাম কর্মী সমর্থক। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রচণ্ড গরমে বেশ কিছুটা রাস্তা হাঁটেন তিনি। এদিনের মিছিলে যোগদান করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। মিছিল সালকিয়া চৌরাস্তায় পৌঁছলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেরিয়ে বাম কর্মী সমর্থকরা এগনোর চেষ্টা করলে তাদের ওপর লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এরই মধ্যে মাটিতে পড়ে যান মহম্মদ সেলিম। তার মধ্যেই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে বিমান বসু ঘোষণা করেন, মিছিল নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে না দিলে ঘটনাস্থলেই অবস্থান করবেন আন্দোলনকারীরা। এর পর জিটি রোডে অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ অবস্থানের পর পুলিশ বামেদের মিছিল এগনোর অনুমতি দেয়। গন্তব্যে পৌঁছে সভায় বক্তব্য রাখেন সেলিম।

এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলছে, ওই এলাকা দিয়ে গেলে পাথর পড়বে। পুলিশ গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা তো মিছিল নিয়ে এলাম। একটাও পাথর পড়েনি। এরাজ্যের পুলিশ আহম্মক।’